Wednesday, October 6, 2010

০৪ সেপ্টেম্বর ২০১০
১৫ আগস্টের কালোরাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যার নির্মম ঘটনা এবং এর পরে ক্ষমতায় আসা সরকারের নির্দয় আচরণের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রী; তাঁর দু’চোখ বেয়ে নেমে এলো নোনা জলের ধারা। আবেগমথিত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতা দখল করেছিল তারা আমাকে দেশে আসতে দেয়নি। পরবর্তীতে ’৮১ সালে আমি যখন দেশে ফিরে আসি জেনারেল জিয়াউর রহমান আমাকে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারের বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি।’ তিনি আজ সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজিত বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণকালে বলেন, ‘জেনারেল জিয়াউর রহমান আমাকে ১৫ আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনার জন্য ৩২ নম্বর বাড়ির ভেতরে মিলাদ মাহফিল পর্যন্ত করতে দেয়নি।’ তিনি বলেন, ‘জিয়া আমাদেরকে রাস্তায় মিলাদ পড়তে বাধ্য করেছিল।’ শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ উল্লেখ করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জিয়া বঙ্গবন্ধু যে বাড়ি থেকে তাঁর সকল স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন পরিচালনা করেছিলেন সেই বাড়িটি খোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।’ তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে বিচারপতি সাত্তার সরকার আমাকে ধানমন্ডির বাড়িটি বুঝিয়ে দেন। যখন আমি বাড়িটি বুঝে পাই তখন এটি ছিল বিধ্বস্ত। খুনীরা শুধু আমার বাবা, মা, ভাইকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা বাড়িটির মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গিয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘আমি বাড়িতে ঢুকে সবখানে শুকিয়ে যাওয়া রক্তের দাগ এবং বাড়ির জিনিসপত্র মেঝেতে ছড়ানো-ছিটানো দেখতে পেলাম।’ শেখ হাসিনা যখন বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক এ অধ্যায়ের ঘটনা বর্ণনা করছিলেন, তখন ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পিন-পতন নীরবতা নেমে আসে। প্রধানমন্ত্রীর আবেগ অনুষ্ঠানের শ্রোতাদেরও ছুঁয়ে যায়, বিশেষ করে শিশুদের তাঁর আবেগময় কণ্ঠে এই নির্মম ঘটনার বর্ণনা শুনে চোখ মুছতে দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাড়িটি গ্রহণ করার পর তিনি এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা এই বাড়িটিকে দেশের জনগণের জন্য যাদুঘরে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবলাম, যেহেতু বঙ্গবন্ধু এই বাড়ি থেকেই তাঁর সকল গণমুখী আন্দোলন পরিচালনা করেছেন, সেহেতু, দেশের জনগণই এই বাড়ির মালিক।’ শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৪ সালের ১৪ আগস্ট তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর উদ্বোধন করেন। এর পর থেকে এটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। পরবর্তীতে সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ট্রাস্ট গঠন করা হয়।



৪ সেপ্টেম্বর ২০১০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার জাতির বৃহত্তর স্বার্থে নতুন প্রজন্মের কাছে দেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজিত বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণকালে আরো বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের সামনে মৃুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারের হত্যার পর দেশে একাধিকবার সামরিক আইন জারি ও ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির মহোৎসব শুরু হয়েছিল। ফলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারেনি।’ তিনি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের উন্নত জীবন গড়ে তোলার লক্ষে তাঁর সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তাদেরকে অবশ্যই শিক্ষা-দীক্ষায় যোগ্য করে ভবিষ্যৎ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশের মানুষের ভাত, কাপড়, বাসস্থানসহ মৌলিক সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতার কামনা করে বলেন, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে সুখী, সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতা দখল করেছিল তারা আমাকে দেশে আসতে দেয়নি। পরবর্তীতে ৮১ সালে আমি যখন দেশে ফিরে আসি জেনারেল জিয়াউর রহমান আমাকে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারের বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। আমি রাস্তায় মিলাদ পড়েছি। বিচারপতি সাত্তার সরকার আমাকে ধানমন্ডির বাড়িটি বুঝিয়ে দেন। যখন আমি বাড়িটি বুঝে পাই তখন এটি ছিল বিধ্বস্ত। খুনীরা শুধু আমার বাবা, মা, ভাইকে হত্যা করেনি তারা বাড়িটির সবকিছু লুট করে নিয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ট্রাস্টের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, এখান থেকে প্রতিবছর এক হাজার থেকে ১২শ’ ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান ছাড়াও বিভিন্নভাবে মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এমন কি অস্বচ্ছলদের কাউকে কাউকে ট্রাস্টে চাকরি দেয়া হয়েছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত অপারেশনসহ প্রায় ৮ লাখ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আহত ৪২ জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ট্রাস্টের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের উপর সেমিনার-সিম্পোজিয়াম করা হয়। তিনি শিশুদের মধ্যে এ ধরনের প্রতিযোগিতার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এতে শিশুদের প্রতিভা বিকাশ ঘটে। এ জন্য বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের উদ্যোগে প্রতিবছর সংগীত, ছবি আঁকা, রচনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।



২ সেপ্টেম্বর ২০১০
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিপুল ভোটাধিক্যে নির্বাচিত হয়ে জনগণের শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের লক্ষ্যে কাজ শুরু করে। অপরদিকে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের দুঃশাসনহেতু দুষ্কর্মের কারণে নির্বাচনে জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে মহাজোট সরকারের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার অসৎ মানসে শুরু থেকেই একের পর এক চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে; বাস্তবতা বিবর্জিত, অসাড়, ভিত্তিহীন এবং নির্লজ্জ মিথ্যাচার চালিয়ে তারা গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের মাঝে বিদ্বেষ ও বিভ্রানি- ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তৎপর হয়ে উঠে। আমরা বিরোধী দলের মাননীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের এহেন রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূত, মনগড়া, অশ্লীল, কুৎসিৎ, অসিহষ্ণু, অনভিপ্রেত, কুরুচিকর, উস্কানিমূলক নৈরাজ্যকর কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের দুর্বৃত্তায়ন, দুর্নীতি, দলীয়করণ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন ও বিদেশে পাচার, জাতীয় প্রতিষ্ঠাসমূহ ধ্বংস, চরম দারিদ্র্য, সুশাসনের অনুপস্তিতি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্তিতির মারাত্মক অবনতি এবং সর্বক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতার কারণে দেশে এক ভীতিকর পরিস্তিতি সৃষ্টি হয়েছিল; নাগরিক জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছিল। দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগ স্থবির হয়ে গিয়েছিল। অর্থনীতিতে নেমে এসেছিল বিপর্যয়। অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে কলংকিত হয়েছিল বাংলাদেশ। এর পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতির চরম মন্দা, গ্যাস, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকট, গগণচুম্বি দ্রব্যমূল্য এমনিতর পটভূমিতেই দেশ পরিচালনার ভার গ্রহণ করেছিল বর্তমান মহাজোট সরকার।
বিরোধী দলীয় মাননীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চাঁদাবাজি নিয়ে কথা বলেন, তাকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, - ‘‘আপনি আচরি ধর্ম, পরেরে শেখাও”। গণ চাঁদাবাজির ন্যক্কারজনক ধারণা বিএনপি-জামাত জোট সরকার এদেশে ২০০১ সালে প্রবর্তন করেছিল। আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে হয়েছে তাই চাঁদা দিতে হবে, ছেলে বিদেশে কাজ করে টাকা পাঠিয়েছে নিতে হলে চাঁদা দিতে হবে, ঘরে ফসল উঠেছে চাঁদা দিতে হবে, মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে চাঁদা দিতে হবে, ছেলে চাকরি পেয়েছে চাঁদা দিতে হবে, সাধারণভাবে ব্যবসা করলে চাঁদা দিতে হবে, সরকারি কর্মচারী বেতন পেয়েছে চাঁদা দিতে হবে; চাঁদা না দিলে সন্ত্রাস ও নির্যাতনের ভয়াবহ বিভীষিকায় নাগরিক জীবন বিপন্ন হয়ে উঠতো। তার শাসনামলে রাষ্ট্র ও সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে দুর্নীতির লালন ও দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লম্বা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতাসীন হয়ে খালেদা জিয়া নিজেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে দুর্নীতি শুরু করেন। বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহার দ্বারা তার নিজের, তার পরিবারের সদস্যদের, তাদের অনুগত মোসাহেবদের আখের গুছিয়েছেন। জনগণকে নিয়ে তারা কোনদিন ভাবেননি। ক্ষমতার দম্ভ ও অহংকারে মদমত্ত হয়ে ভেবেছেন তারা দেশের প্রচলিত আইনের ঊর্ধ্বে, সকল কিছুর ধরাছোঁয়ার বাইরে। গোটা দেশকে হাওয়া ভবনের নেটওয়ার্কে এনে লুটপাটের এক স্বর্গরাজ্য কায়েম করেছিলেন। তাকের-কোকোদের দাপটে বিএনপির ডাকসাইটের ক্ষমতাধর নেতারা পর্যন্ত কুপোকাত হয়ে গিয়েছিলেন। বাঘা বাঘা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপিরা বিড়াল বনে গিয়েছিলেন। ১/১১-র পরে আজকের চাটুকার, পদলেহী বিএনপির র্শীষ পর্যায়ের নেতারা কারা অভ্যন-রে চোখের জলে ভাসিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করতেন আর বলতেন, ‘‘দুর্নীতিবাজ খালেদা আর তার পুত্রের কারণেই বিএনপি ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে, তাদের কারাগারে আসতে হয়েছে। সাপের পেটে সাপই হয়। তওবা করে বলতেন কারাগার থেকে মুক্ত হলে জীবনের আর কোনদিন বিএনপি করবো না।” আজ সময়ের বির্বতনে তারাই খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক-কোকোদের কৃপালাভের আশায় ভন্ডামিপূর্ণ কুরুচিকর প্রতারণামূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে।বহুল প্রচারিত ভাঙা স্যুটকেস, দৃশ্যমান আয় অর্জনের বেষ্টনির বাইরে অবস্থানরত দুস' ব্যক্তি ও পরিবার হিসেবে রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত বিধবা ভাতা আর সন্তানদের শিক্ষা সহায়কী এবং বখশিস-খয়রাতি আবাসনের সুবিধা নিয়ে যে বা যার পারিবারের যাত্রা শুরু, তিনি ও তারা আজ বাংলাদেশে অন্যতম শীর্ষ ধনী পরিবার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

সন্ত্রাস ও দলীয়করণের সঙ্গে খালেদা জিয়া সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি বাংলাদেশ পৃথিবীর একমাত্র দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ, তার শাসনকে এদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দুর্নীতিমণ্ডিত শাসন এবং সরকার প্রধান হিসেবে এক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য তাকে এদেশের সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ, দুর্নীতিতে লাভবানমণ্ডলীর সারথী ও লুটেরাদের প্রতিভূ হিসেবে যিনি পরিচিতি অর্জন করেছিলেন। এককথায় বলতে গেলে রাষ্ট্রের সব বিভাগ ও কর্মবৃত্তে দুর্নীতি একমাত্র অনুসরণীয় নীতি হিসেবে বিএনপি-জামাত জোট সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল।

বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র আর সন্ত্রাসমুক্ত নাগরিক জীবন উপহার দিবেন! তাকে গণতন্ত্রপ্রিয় দেশবাসীর পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসা করতে চাই ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ খুনের দায়ে দণ্ডিত আসামি, অবৈধ ক্ষমতা দখলদার স্বৈর সামরিক শাসক জিয়ার অনুকম্পায় মুক্ত আর বায়তুল মোকাররমের গিনি সোনার দোকানে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতারকৃত তথাকথিত নেতাকে পাশে বসিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ইফতার খাইয়ে গণতন্ত্র ও সন্ত্রাসমুক্ত নাগরিক জীবন উপহার দিবেন; তা জাতির সাথে নির্লজ্জ প্রহসনমূলক আচরণ বৈ আর কি হতে পারে?

বিরোধী দলের মাননীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রায়শই দ্রব্যমূল্য নিয়ে কথা বলেন। আমরা বলতে চাই, মহাজোট সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে অর্থাৎ স্থিতিশীল সহনীয় রাখার অবিরত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।আমাদের সরকার পবিত্র রমজান মাসে জনজীবনে স্বস্থি আনয়ন ও চালের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্যে দেশব্যাপী ৯৩ হাজার মেট্রিক টন চাল ওএমএসের মাধ্যমে ২৪ টাকা সের দরে বিক্রির ব্যবস্থা করেছে। জনগণের চাহিদাকে পুঁজি করে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার সকল সুযোগ বন্ধ করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিএনপি-জামাত জোট সরকার অসৎ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট গড়ে তোলে হাজার হাজার কোটি টাকা জনগণের পকেট থেকে লুটে নিয়ে দেশ ও বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। এই অবৈধ লুটের সম্পদ ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের শিরোমণি খালেদা জিয়ার প্রাণধিক প্রিয় পুত্র তারেক ও কোকো। বেগম জিয়াকে বলি ‘‘কাঁচের ঘরে বসে অন্যের প্রতি ঢিল ছুঁড়বেন না।” 

No comments:

Post a Comment