Saturday, July 31, 2010



শুরু হলো কান্নার মাস আগষ্ট!



শুরু হলো কান্নার মাস আগষ্ট। পনের আগস্ট বাঙালির কান্নার দিন। জাতির পিতার হন্তারণের এক মর্মান্তিক অধ্যায়। স্বাধীন বাংলাদেশের সমান রক্তাক্ত গুলিবিদ্ধ দেহে স্তম্ভিত বাংলার সবুজ প্রাণ, পদ্মা মেঘনা যমুনা ব্রহ্মপুত্রের জলধারায় স্নাত আজন্ম কান্নার ইতিবৃত্ত। তাঁর প্রিয় কালোপাইপ হাতে নিজের রুমে পায়চারি করতে করতে যখন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা-পরবর্তী ভঙ্গুর অর্থনীতি থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসার চিন্তায় মগ্ন ঠিক তখনই ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে রক্তাক্ত হয় তাঁর বুক- বাংলাদেশের সমান হৃদয়। যে স্পর্ধা দেখাতে সাহস পায়নি পাকিস্তানি জান্তারা সেই স্পর্ধার সুপরিকল্পিত চিত্রপট- স্বাধীন বাংলাদেশের রক্তাক্ত ইতিহাস।


বঙ্গবন্ধুর ঘাতকরা কী ভাবে বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের ওপর পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিলো- সে ইতিহাস হয়তো আজ সবার জানা, তবু বছরের অন্যান্য মাসের চেয়ে দিনের চেয়ে আগষ্ট আর তার পনের তারিখ আসলে আসলে মন বেশি ভারাক্রান্ত হয়। বারবার সেই মর্মদন্ত কাহিনী ফিরে আসে নতুন কষ্টের আকর হয়ে। 


পঁচাত্তরের পনের আগস্ট ভোরে ১ম বেঙ্গল ল্যান্সারের স্কোয়াড্রন কমান্ডার একেএম মহিউদ্দিন তার সঙ্গীসহ বত্রিশ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে ‘হ্যান্ডস আপ’ শব্দ উচ্চারণের সঙ্গে অবিরাম গুলি বর্ষণে গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশ করে। ফোর্স নিয়ে সে দোতলায় উঠে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত করে। 


বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের আগের রাতে বালুরমাঠে নাইট ট্রেনিংয়ের নামে যে প্রস্তুতিপর্ব সংগঠিত হয়েছিল তার কমান্ডিং অফিসার ছিল মেজর ফারুক এবং ঘাতক একেএম মহিউদ্দিন। পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার রাঙ্গাবালী গ্রামের আবুল হোসেন তালুকদারের পুত্র একেএম মহিউদ্দিন ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন পায়। ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সে সেখানেই কর্মরত ছিল। ৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বন্দিশিবিরে আটক থাকার পর দেশে ফিরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে পরও খুনি মোস্তাক ও পরবর্তী সরকারসমূহের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে মহিউদ্দিন ৭৬ সালের ১০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিল। যদিও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট দুপুরে খোন্দকার মোস্তাকের মন্ত্রিসভার শপথের সময় খুনি মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিল। ১৯৭৬ সালের ১ জুলাই তৎকালীন সরকার আলজিরিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে তার চাকরি ন্যস্ত করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পুরস্কারস্বরূপ সে এই লোভনীয় চাকরির সুযোগ পেয়েছিল সেটি ওপেন সিক্রেট। 


বঙ্গবন্ধুকে যখন ল্যান্সারখ্যাত ঘাতক মহিউদ্দিন সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে নিয়ে আসে তখন বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বভাবসুলভ ভাষায় বলেছিলেন- ‘তোরা কী চাস?’ কিন্তু খুনিরা তখন রক্তের নেশায় মত্ত। বঙ্গবন্ধুর জীবনের শেষ কথা শেষ না হতেই ক্যাপ্টেন বজলুল হুদা এবং মেজর নূর স্টেনগান দিয়ে বঙ্গবন্ধুর বুকে ব্রাশফায়ার করে। বঙ্গবন্ধুর দেহ সিঁড়ির ওপর লুটিয়ে পড়ে। মৃত্যু নিশ্চিত হবার পর তারা দক্ষিণ দিকের গেট দিয়ে দ্রুত বের হবার অব্যবহিত পরেই মেজর ফারুক একটি ট্যাংক নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে এবং পুরস্কারস্বরূপ অপারেশনে অংশগ্রহণকারী অনুগামী সেনাদের ঘাড়ে পদোন্নতির নতুন ব্যাজ পরিয়ে দেয়। 



১৯৭৫ সালের ১২ নভেম্বর মোস্তাক সরকার ইতিহাসের এই জঘণ্যতম হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করতে যখন ইনডেমনিটি জারি করে, তখন বিশ্বাসী হতবাক হয়ে যায়। দীর্ঘ একুশ বছর পর শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর সেই কালোআইনটি বাতিল করলে জাতি আবার পিতা হত্যার বিচারে নতুন আশায় জেগে ওঠে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর ২৩ জনকে আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় মামলা হয়। এরপর গত হয় বহু বছর। সম্পন্ন হয় হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্য। তবু সব আসামীদের শাস্তির রায় আজও কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।


পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটেছিল। সেদিন স্বাধীনতার আদর্শকে যেভাবে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছিল তারই কুফল আজও ভোগ করতে বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। দিনে দিনে বেড়েছে দুর্বৃত্তায়। খুনিদের পুরস্কৃত না করে যদি সঠিক বিচার করা হতো তাহলে বাংলাদেশে দুর্বৃত্তায়নের প্রশ্রয় হতো না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হতে পারত না। 


বঙ্গব্ন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন তার বাস্তবায়নে সেই পঁচাত্তরের পনের আগস্টের শত্রু নিঃশ্চিহ্ন করার কাজ পুরোপুরি শেষ করতে হবে। যেভাবেই হোক পলাতক খুনিরা যে দেশে যে অবস্থায় থাকুক না কেন, তাদেরকে অনতিবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে যথাযথ শাস্তি বিধান করতে হবে। তা না হলে দুর্বৃত্তায়ন এবং তার ফলাফল বিধ্বস্ত বাংলাদেশের মুখ থেকে দৃষ্টি ফেরানো কখনোই সম্ভব হবে না। সম্ভব নয়!


তথ্য সূত্র:prothom-aloblogprothom-alo prothomaloblog

Monday, July 26, 2010

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-০৩


জামাতী সহ জামাতীদের বাঁচানোর জন্য কেউ 
কেউ প্রশ্ন তুলছেন যুদ্ধাপরাধের বিচার আইন নিয়ে। 















আজ যুদ্ধাপরাধের বিচারের আইন নিয়েই আমার আলোচনা 



একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল তাদের বিচার করতে চলতি বছরের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তিন বিচারকসহ তদন্তকারী সংস্থা এবং প্রসিকিউটরদের নিয়োগ দেয়া হয়  অনুযায়ী , আর এই আইনে ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারও করা হবে । এ নিয়ে জামায়াত বিতর্কের সৃষ্টি করলেও বিধিতে পরিষ্কার ভাষায় বলা আছে কিভাবে বিচারসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কাজ সমাধা করা হবে।


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হবার পর বিভিন্ন সংস্থা এবং সংগঠন যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা তদন্তকারী সংস্থার কাছে দিয়েছে। তারই ভিত্তিতে তদন্তকারী সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। বিচারের স্বার্থে ইতোমধ্যে ট্রাইব্যুনালের বিধিমালা তৈরি করা হয়েছে। প্রথমে এটি ইংরেজীতে করা হলেও পরবর্তীতে বাংলায় করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকার এর রুল অব প্রসিডিউর [THE INTERNATIONAL CRIMES (TRIBUNALS) ACT, 1973 (ACT NO. XIX OF 1973)] 
গেজেট টি এখানে আছে(http://www.wcsf.info/library/files/262_2010.pdf) বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে ১৫ জুলাই। 


এই আইনে আছে অপরাধ বা অপরাধসমূহ সম্পর্কে তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর চীফ প্রসিকিউটর বা তার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রসিকিউটর তদন্ত কর্মকর্তার দাখিলকৃত তদন্তকালে সংগৃহীত কাগজাদি, তথ্যাদি ও সাৰ্যসমূহের ভিত্তিতে দরখাস্ত আকারে 'ফরমাল চার্জ' প্রস্তুত করবেন এবং তা ট্রাইব্যুনালে দাখিল করবেন। 


এখন আলোচনা আইনের ৩ (২) ধারায় যা আছে তা নিয়ে .... 



এই আইনে বলা আছে আইনের ৩ (২) ধারায় বর্ণিত সকল অপরাধ আমলযোগ্য, অমীমাংসাযোগ্য এবং অজামিনযোগ্য। অপরাধ আমলে গ্রহণের পর ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্তদের উপস্থিতির জন্য একটি তারিখ ধার্য করবে এবং এই উদ্দেশ্যে সমন বা ওয়ারেন্ট যা ট্রাইব্যুনালের উপযুক্ত বলে মনে করবে, তা জারি করবে। 


৩ (২) ধারায় নির্ধারন করা হয়েছে , শুধু হত্যা নয় আরো কিছু অপরাধ মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গন্য হবে —
১।পরিকল্পিত ভাবে একটি জাতি বা গোষ্ঠিকে নির্মুল করার জন্য তাদের সদস্যদেরকে হত্যা বা নিশ্চিহ্নকরন ।
২।একই উদ্দেশ্যে শারীরিক বা মানসিক ক্ষতিসাধন ।
৩।একটি জাতি বা গোষ্ঠিকে নির্মুল করার উদ্দেশে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করা যাতে তারা সম্পুর্ন বা আংশিক ভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ।
৪।এমন পরিবেশ তৈরী করা যাতে একটি জাতি বা গোষ্ঠীর জীবনধারন কষ্টসাধ্য , সেই সংগে জন্মপ্রতিরোধ করে জীবনের চাকা থামিয়ে দেয়া হয় ।
৫।একটি জাতি বা গোষ্ঠি শিশু সদস্যদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে তাদের জন্ম পরিচয় ও জাতিস্বত্বা মুছে ফেলা ।

গনহত্যার সংজ্ঞা নির্ধারনের পর ধারা ৩ এ গনহত্যা সংশ্লিষ্ট অপরাধ সমুহ ও চিহ্নিত করা হয়েছে 
১। গনহত্যা চালানো ।
২।গনহত্যা চালানোর ষড়যন্ত্র/পরিকল্পনা করা ।
৩। প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে গনহত্যা উস্কে দেয়া ।
৪।গনহত্যা চালানোর চেষ্টা করা ।
৫।গনহত্যায় যে কোন প্রকারে সহযোগী হওয়া ও সমর্থন করা ।

ধারা ৩ এর পর ধারা ৪ এ বলা হয়েছে–
উপরোক্ত যে কোনো একটি অপরাধেই, অপরাধী যুদ্বাপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবে- তা সে সাংবিধানিক সরকার, সরকারের আজ্ঞাবাহী কর্মচারী, কোন দল কিংবা একক কোনো ব্যক্তি ই হোক ।

ধারা ৭ এ আবার স্পষ্ট করে বলা হয়েছে –
ধারা ৩ এ বর্নিত অপরাধ সমুহ কোনো ভাবেই রাজনৈতিক অপরাধ বলে গন্য হবেনা ।

বাকী সব কিছু বাদ দিচ্ছি, ধারা ৩ (২) কি বলে? গনহত্যায় সহযোগীতা করা কিংবা যে কোনো ভাবে সমর্থন জানানো ও মানবতাবিরোধী অপরাধ ।




১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পকিসত্মানী বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামসের হাতে ৩০ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। সাড়ে চার লাখ নারী সম্ভ্রম হারিয়েছে। লাখ লাখ ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। প্রাণের ভয়ে প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো এখন আর কোন কঠিন কাজ নয় । 


তথ্য সূত্র: নেট থেকে সংগ্রহ করা ( বিভিন্ন বই ও বিভিন্ন দৈনিক বাংলা পত্রিকা )


২৬ জুলাই,২০১০

খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে কৃষি বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও মাটির গুণাগুনের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে চাষ পদ্ধতি পরিবর্তনে কৃষকদের প্রশিক্ষিত করে তুলতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। সকালে রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস এবং বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে এবছর ৩২ ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কাছে এ পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যাতে খাদ্যে সয়ংসমপূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি সংকটে, দুর্যোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে সহায়তা করা যায়। তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদন ঠিক রাখার স্বার্থে রাসায়ানিক সার, ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার এ মুহুর্তে বন্ধ করা না গেলেও এগুলো পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনতে হবে। দীর্ঘ ১০ বছর পর ৩টি ক্যাটাগরিতে ৩২ কৃষকের মধ্যে ৫ জনকে স্বর্ণপদক ও নগদ ২৫ হাজার টাকা, ৯ জনকে রৌপ্যপদক ও নগদ ১৫ হাজার টাকা এবং ১৮ জনকে ব্রোঞ্জ পদক ও নগদ সাড়ে ৭ হাজার টাকা দেয়া হয়। স্বর্ণপদক পাওয়া ৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হচ্ছে কৃষিতে মহিলাদের অবদানের জন্য কুমিল্লা দেবিদ্বারের ঊষা রানী গোস্বামী, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির পরিচালক এম এ মতিন, কৃষি উন্নয়নে সচেতনতা ও উদ্ধুদ্ধকরণ, প্রকাশনা ও প্রচারণায় খামারবাড়ির কৃষি তথ্য সার্ভিস, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগী চাষে যশোরের সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন ও বাণিজ্যিক খামার স্থাপনে কিশোরগঞ্জের ভাগলপুর আফতার বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড।

Saturday, July 24, 2010

১৯৭১-এর যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে : শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আইলা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নয়নে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদন, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু পালনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত থাকবে। তিনি সরকারের দেয়া এসব সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের প্রতি আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী গতকাল ঘূর্ণিঝড় আইলা-ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে গৃহনির্মাণ অনুদান প্রদান উপলক্ষে শ্যামনগর উপজেলার এইচ সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় বক্তৃতাকালে ঘূর্ণিঝড় আইলা ও সিডরে ব্যাপক জানমালের ক্ষয়-ক্ষতির কথা উলে¬খ করে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দূর করার জন্যে সরকার ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এ ছাড়া ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে দেশের নদ-নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে সংশি-ষ্টদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বলেন, চিংড়ি চাষের জন্যে যত্রতত্র বাঁধ কেটে নোনা পানি ঢোকানো বন্ধ করতে হবে। চিংড়ি চাষের জমিতে লোনা পানি ঢোকার সময় বেড়িবাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তিনি চিংড়ি চাষী এবং সংশি¬ষ্ট সরকারী বিভাগকে এ ব্যাপারে লাগসই প্রযুক্তি গ্রহণের পরামর্শ দেন। জনসভায় আরও বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। এতে সভাপতিত্ব করেন ত্রাণ ও পুনর্বাসন সচিব মুখলেসুর রহমান। জনসভার পর স্থানীয় মহসিন কলেজে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে আইলা-পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার নর-নারী জনসভায় যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা স্থলে উপস্থিত হাজার হাজার জনতা মুহুর্মুহু করতালি ও শে¬াগান দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় তাদের কন্ঠে উচ্চারিত হতে থাকে ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম।’ প্রধানমন্ত্রী বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের পক্ষে রায় দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করতে তাঁর সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে সুখী-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় তাঁর সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কোন ষড়যন্ত্রই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে পারবে না। তিনি এ ব্যাপারে সকলকে সজাগ ও সচেতন থাকার আহবান জানান।

 বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা - কি এবং কাদের জন্য।





সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার বঙ্গবন্ধু বলেন(১৯৭৩ সালের ৩০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধূ এই ঘোষণা দিয়েছিলেন) "যেসব লোক দীর্ঘদিন ধরে আটক রয়েছেন। এতদিনে তারা নিশ্চয়ই গভীরভাবে অনুতপ্ত। তারা নিশ্চয়ই তাদের অতীত কার্যকলাপের জন্য অনুশোচনায় রয়েছেন। আমি আশা করি তারা মুক্তিলাভের পর তাদের সকল অতীত কার্যকলাপ ভুলে গিয়ে দেশ গঠনের নতুন শপথ নিয়ে প্রকৃত দেশপ্রেমিকের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।"

তার পরের দিন স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে নিম্নোক্ত প্রেসনোটটি ইস্যু করা হয়। প্রেসনোট : যারা ১৯৭২ সালের দালাল (বিশেষ ট্রাইবুনাল) আদেশ (পি.ও নং-৮, ১৯৭২ সালের) বলে আটক রয়েছেন অথবা সাজাভোগ করছেন তাদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শনের প্রশ্নটি সরকার আগেও বিবেচনা করে দেখেছেন। সরকার এ সম্পর্কে এখন নিম্নোক্ত ঘোষণা করছেন। 

১. দুনম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত ব্যক্তিদের ও অপরাধ সমূহের ক্ষেত্র ছাড়া :

(ক) ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী দন্ডবিধি ৪০১ নং ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত আদেশবলে আটক ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের রেহাই দেওয়া হচ্ছে এবং উল্লিখিত আদেশ ছাড়া অন্য কোনো আইনবলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকলে তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার অনতিবিলম্বে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। 

(খ) কোনো বিশেষ ট্রাইবুনালের সম্মুখে অথবা কোনো বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে উক্ত আদেশবলে বিচারাধীন সকল মামলা সংশ্লিষ্ঠ ট্রাইবুনাল ও ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে প্রত্যাহার করা হবে এবং উল্লিখিত আদেশ ছাড়া অন্য কোনো আইনে তাদের বিরুদ্ধে বিচারাধীন কোনো মামলা বা অভিযোগ না থাকলে তাদের হাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।

(গ) কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে উল্লিখিত আদেশবলে আনীত সকল মামলা ও তদন্ত তুলে নেওয়া হবে এবং উল্লিখিত আদেশ ছাড়া অন্য কোনো আইনে বিচার বা দন্ডযোগ্য আইনে সে অভিযুক্ত না হলে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। উল্লিখিত আদেশবলে ইস্যু করা সকল গ্রেফতারী পরোয়ানা, হাজির হওয়ার নির্দেশ অথবা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে হুলিয়া কিংবা সম্পত্তি ক্রোকের নোটিশ দেয়া থাকলে তা প্রত্যাহার বলে বিবেচিত হবে এবং গ্রেফতারী পরোয়ানা অথবা হুলিয়ার বলে কোনো ব্যক্তি ইতিপূর্বে গ্রেফতার হয়ে হাজতে আটক থাকলে তাকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হবে। অবশ্য সে ব্যক্তি উল্লিখিত দালাল আদেশ ছাড়া কোনো বিচার বা দন্ডযোগ্য অপর কোনো আইনে তার বিরুদ্ধে যদি কোনো মামলা না থাকে তবেই।

যাদের অনুপস্থিতিতেই সাজা দেওয়া হয়েছে অথবা যাদের নামে হুলিয়া বা গ্রেফতারী পরোয়ানা ঝুলছে তারা যখন উপযুক্ত আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা ও বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করবে কেবল তখনই তাদের বেলা ক্ষমা প্রযোজ্য হবে। 

২. দন্ডবিধির ৩০২ নং ধারা (হত্যা), ৩০৪ নং ধারা, ৩৭৬ ধারা (ধর্ষণ), ৪৩৫ ধারা (গুলি অথবা বিস্ফোরক ব্যবহার করে ক্ষতিসাধন), ৪৩৬ ধারা (ঘর জ্বালানো) ও ৪৪৮ ধারায় (নৌযানে আগুন বা বিস্ফোরণ) অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্তগণ এক নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ক্ষমার আওতায় পড়বে না। 

সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রতিবেদন : দৈনিক বাংলা ১ ডিসেম্বর ১৯৭৩। 
শিরোনাম : দালাল আইনে আটক সাজাপ্রাপ্তদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা।

উপ-শিরোনাম : দেশের কাজে আত্মনিয়োগের জন্য ক্ষমাপ্রাপ্তদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আহ্বান।
ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের ক্ষমা নেই।

দৈনিক বাংলা: সরকার বাংলাদেশ দালাল আইনে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশ দালাল (বিশেষ ট্রাইবুনাল) অধ্যাদেশ ১৯৭২ বলে যারা আটক হয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা অথবা হুলিয়া রয়েছে এবং যারা এই আইনে সাজা ভোগ করছেন তাদের সকলের প্রতিই এই সাধারণ ক্ষমা প্রযুক্ত হবে এবং তারা অবিলম্বে মুক্তিলাভ করবেন। তবে নরহত্যা, নারী ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগ অথবা বিস্ফোরকের সাহায্যে ঘরবাড়ি ধ্বংস অথবা জলযান ধ্বংসের অভিযোগে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা প্রযুক্ত হবে না। গতকাল শুক্রবার রাতে প্রকাশিত এক সরকারী প্রেসনোটে এই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার কথা প্রকাশিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গতরাতে বলেন, দলমত নির্বিশেষে সকলেই যাতে আমাদের মহান জাতীয় দিবস ১৬ ডিসেম্বরে ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে দেশ গড়ার শপথ নিতে পারে সরকার সেজন্য দালাল আইনে আটক ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশ দালাল অধ্যাদেশে আটক ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যাতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর অনতিবিলম্বে জেল থেকে মুক্তিলাভ করতে পারেন এবং আসন্ন ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় উৎসবে যোগ দিতে পারেন বঙ্গবন্ধু সেজন্য তাদের মুক্তি তরান্বিত করতে স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। সাধারণ ক্ষমায় যারা মুক্তি পাবেন তাদের বিজয় দিবসের উৎসবে একাত্ম হতে এবং দেশ গঠনের পবিত্র দায়িত্ব ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষার শপথ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু তার সরকারের সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শনের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে বলেন, মুক্ত হয়ে দেশগঠনের পবিত্র দায়িত্ব গ্রহণের পূর্ণ সুযোগ তারা গ্রহণ করবেন এবং তাদের অতীতের সকল তৎপরতা ও কার্যকলাপ ভুলে গিয়ে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন তিনি এটাই কামনা করেন।

বঙ্গবন্ধু বলেন, বহু রক্ত, ত্যাগ তিতিক্ষা আর চোখের পানির বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। যে কোনো মূল্যে এই স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এবারের বিজয় দিবস বাঙালীর ঘরে ঘরে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের এক নতুন দিগন্ত উম্মোচিত করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কিছু লোক দখলদার বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করে আমাদের মুক্তি সংগ্রামের বিরোধিতা করেছিলেন। পরে বাংলাদেশ দালাল আদেশ বলে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে অনেকেই পরিচিত ব্যক্তি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দখলদার বাহিনীর সঙ্গে তাদের সহযোগিতার ফলে বাংলাদেশের মানুষের জীবনে অবর্ণনীয় দুঃখ দুর্দশা নেমে এসেছিল।

বঙ্গবন্ধু বলেন, এসব লোক দীর্ঘদিন ধরে আটক রয়েছেন। তিনি মনে করেন এতদিনে তারা নিশ্চয়ই গভীরভাবে অনুতপ্ত। তারা নিশ্চয়ই তাদের অতীত কার্যকলাপের জন্য অনুশোচনায় রয়েছেন। তিনি আশা করেন তারা মুক্তিলাভের পর তাদের সকল অতীত কার্যকলাপ ভুলে গিয়ে দেশ গঠনের নতুন শপথ নিয়ে প্রকৃত দেশপ্রেমিকের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।

কৃতজ্ঞতা - রুবেল আহমদ, প্রথমআলো ব্লগ।

Friday, July 23, 2010








RyjvB 24, 2010, kwbevi : 9 kªveY, 1417

†hLv‡b †mLv‡b euva †K‡U wPswo Pvl Kiv hv‡e bv


wRGg gwbiæj Bmjvg wgwb, mvZÿxiv msev``vZv 


cÖavbgš¿x †kL nvwmbv e‡j‡Qb, †`‡ki AvBjv Dc`ªæZ DcK‚jxq GjvKvi ÿwZMÖ¯Í †ewoeuva¸‡jv †UKmB cÖhyw³‡Z AviI kw³kvjx K‡i wbg©vY Kiv n‡e| hv‡Z mn‡RB †KD evua †K‡U ÿwZ Ki‡Z bv cv‡i| †ewo evu‡a MvQ jvwM‡q DcK~jxq GjvKvq meyR †eówb ˆZix Ki‡Z n‡e †hb evua †ekx gReyZ nq| cÖavbgš¿x ûuwkqvwi D”PviY K‡i e‡jb, †hLv‡b †mLv‡b euva †K‡U †jvbv cvwb XzwK‡q wPswo Pvl Kiv hv‡e bv| cÖwZ BDwbq‡b GKwU gvÎ †MU K‡i we‡kl e¨e¯’vq †N‡i cvwb XzwK‡q wPswo Pvl Ki‡Z n‡e| wZwb cwiKwíZfv‡e jvMmB cÖhyw³i gva¨‡g wPswo Pvl Kivi Rb¨ Pvlx‡`i cÖwZ Avnevb Rvbvb|

cÖavbgš¿x †kL nvwmbv MZKvj kyµevi mvZÿxivi k¨vgbM‡ii bwKcyi nwiPiY cvBjU g‡Wj gva¨wgK we`¨vjq gv‡V N~wY©So AvBjvq ÿwZMÖ¯Í cwievi¸‡jvi g‡a¨ M„n wbg©vY Aby`vb cÖ`vb Kvh©µ‡gi D‡Øvab Dcj‡ÿ ¯’vbxq Rbmvavi‡Yi m‡½ gZwewbgq mfvq cÖavb AwZw_i e³‡e¨ GK_v e‡jb|

`y‡h©vM e¨e¯’vcbv I ÎvY wefv‡Mi mwPe †gv: †gvL‡jmyi ingv‡bi mfvcwZ‡Z¡ mfvq Ab¨v‡b¨i g‡a¨ AviI e³e¨ iv‡Lb Lv`¨ I `y‡h©vM e¨e¯’vcbv gš¿Yvj‡qi gš¿x W. Avãyi iv¾vK, ¯^v¯’¨ I cwievi Kj¨vY gš¿x W. Av d g iæûj nK, †Rjv AvIqvgx jx‡Mi mfvcwZ cÖ‡KŠkjx †kL gywRei ingvb Ggwc, GBP Gg †Mvjvg †iRv Ggwc, k¨vgbMi Dc‡Rjv AvIqvgx jx‡Mi mfvcwZ RMjyj nvq`vi I Mveyiv BDwc †Pqvig¨vb m g kwdDj Avhg †jwbb cÖgyL|

cÖavbgš¿x e‡jb, AvIqvgx jx‡Mi †bZ…Z¡vaxb gnv‡Rv‡Ui wbe©vPbx Iqv`v wQj hy×vcivax‡`i wePvi Kiv| hy×vcivax‡`i wePvi Kivi Rb¨ BwZg‡a¨ UªvBey¨bvj MVb Kiv n‡q‡Q| Av`vj‡Zi Kvh©µg ïiæ n‡q‡Q D‡jøL K‡i wZwb e‡jb, hy×vcivax‡`i wePvi evsjvi gvwU‡Z Aek¨B n‡eB n‡e | 

Rbmfvq cÖavbgš¿x Zvi miKv‡ii wewfbœ Dbœqb Kvh©µ‡gi K_v Zz‡j a‡i e‡jb, mvaviY gvby‡li Kj¨v‡Y wewfbœ Kg©m~wP wb‡qwQ hvi mydj Avcbviv †fvM Ki‡Qb| cÖ‡Z¨K gvbyl hv‡Z wb‡Ri cv‡q `uvov‡Z cv‡i, kvwšÍ‡Z I wbivc‡` †_‡K †L‡q c‡i †e‡uP _vK‡Z cv‡i Zvi Rb¨ miKvi me ai‡bi cÖ‡Póv Pvwj‡q hv‡”Q|

M„nwbg©vY Aby`vb cv‡”Q 48 nvRvi cwievi

N~wY©So AvBjvq hviv Nievwo nvwi‡q‡Qb Ggb 48 nvRvi cwiev‡ii g‡a¨ cwievicÖwZ bM` 20 nvRvi UvKv Avw_©K mnvqZv cÖ`v‡bi K_v D‡jøL K‡i cÖavbgš¿x e‡jb, DcK‚jxq GjvKvq 100wU N~wYSo AvkÖq‡K›`ª wbg©vY Kiv n‡e| wZwb k¨vgbMi I Avkvïwbmn cÖwZ Dc‡Rjvi nvmcvZvj‡K 50 kh¨vq DbœxZ Kiv Ges mvZÿxivi my›`ie‡bi Kv‡Q gywÝMÄ ch©šÍ †ijjvBb wbgv©Y, ch©Ub †K›` ¯’vcb, †fvgiv ïé †÷kb‡K c~Y©v½ ¯’je›`‡i iƒcvšÍwiZ Kiv, Rjve×Zv `~ixKi‡Y fivU n‡q hvIqv b`x¸‡jv‡K †WªwRs‡qi gva¨‡g bve¨Zv wdwi‡q Avbv, †gwWK¨vj K‡jR ¯’vcb, k¨vgbMi‡K †cŠimfvq DbœxZ Kiv I k¨vgbMi nvRx gynwmb wWMÖx K‡jR‡K miKvwiKi‡Yi †NvlYv †`b| 

mKvj †_‡K cÖej e„wó D‡cÿv K‡i nvRvi nvRvi gvbyl mfv¯’‡j nvwRi nq cÖavbgš¿x‡K GKbRi †`Lvi Rb¨| cÖavbgš¿x mvZÿxivevmxi Kv‡Q K…ZÁZv cÖKvk K‡i e‡jb, Avcbv‡`i GB FY Avwg †Kvb w`b †kva w`‡Z cvie bv|

ÔDcK‚jxq GjvKvq Lv`¨ wbivcËv wbwðZ Kiv n‡eÕ

Lyjbv †_‡K †iRvDj Kwig Rvbvb, cÖavbgš¿x †kL nvwmbv AvBjv ÿwZM͇֯`i‡K Avk¦¯Í K‡i e‡j‡Qb, AvBjv `yM©Z‡`i `y‡f©vM jvNe bv nIqv ch©šÍ miKv‡ii mvnvh¨-mn‡hvwMZv Ae¨vnZ _vK‡e| DcK‚jxq GjvKvq Lv`¨ wbivcËv wbwðZ Kiv n‡e| GB GjvKvq hv‡Z jeY mnbkxj avb Drcv`b Kiv hvq †mRb¨ c`‡ÿc †bqv n‡q‡Q| wZwb e‡jb, †`‡k hv‡`i Rwg I Nievwo †bB Zv‡`i‡K AvkÖqb cÖK‡í _vKvi e¨e¯’v Kiv n‡e| FY w`‡q Kg©ms¯’v‡bi e¨e¯’v Kiv n‡e| abx Avi `wi‡`ªi ˆelg¨ Kgv‡bv n‡e| †`‡ki gvbyl hv‡Z †cU cy‡i †L‡Z cv‡i Ges Zv‡`i mywkÿvi Rb¨ e¨e¯’v Kiv n‡e|

cÖavbgš¿x weKv‡j Lyjbvi Kqiv Dc‡Rjvi evMvjx BDwbqb cwil` gv‡V N~wY©So AvBjvq ÿwZMÖ¯Í cwievi¸‡jvi Rb¨ M„nwbg©vY Aby`vb cÖ`vb Kvh©µ‡gi D‡Øvabx Abyôv‡b e³…Zv K‡ib| 

wZwb AvBjv `yM©Z‡`i D‡Ï‡k e‡jb, eZ©gvb miKvi Avcbv‡`i cv‡k Av‡Q| Avcbv‡`i Rb¨B Avgv‡`i ivRbxwZ| wZwb e‡jb, wKQz euva †givgZ evwK Av‡Q, Zv wkMwMiB m¤úbœ n‡e| ïay euva wbg©vY Ki‡jB n‡e bv, euv‡ai Ici meyR †eóbx M‡o †Zvjv n‡e| BwZg‡a¨ †mB cwiKíbv MÖnY Kiv n‡q‡Q| cvkvcvwk wZwb GjvKvevmx‡K euv‡ai Ici MvQ jvMv‡bvi Avnevb Rvbvb, hv‡Z R‡jv”Q¡v‡m Zv †f‡½ †h‡Z bv cv‡i| 

Lyjbvi wgj KviLvbv m¤ú‡K© cÖavbgš¿x e‡jb, weMZ †RvU miKvi Lyjbvi AmsL¨ wgj KviLvbv eÜ K‡i †`q| mvZ eQi ci ÿgZvq G‡m Avgiv Lyjbvi eÜ wgj KviLvbv Pvjy Kivi c`‡ÿc wb‡qwQ| ¯’vbxq RbcÖwZwbwa‡`i `vwei cwi‡cÖwÿ‡Z cÖavbgš¿x cvBKMvQv I Kqiv Dc‡Rjv ¯^v¯’¨ Kg‡cø·‡K 50 kh¨vq DbœxZ, `yBwU Dc‡Rjvq †÷wWqvg I cvewjK jvB‡eªwi wbg©vY, GKwU gwnjv K‡jRmn `yBwU K‡jR‡K miKvwiKiY, ch©Ub †K›` ¯’vcb, cvBKMvQvq K…wl K‡jR ¯’vcb, ¯‹zj-K‡jR Kvg mvB‡K¬vb †këvi wbg©v‡Yi †NvlYv †`b| 

Abyôv‡b we‡kl AwZw_ wQ‡jb Lv`¨ I `y‡h©vM e¨e¯’vcbv gš¿x W. †gvt Ave`yi iv¾vK, ¯^v¯’¨ gš¿x Wv. Av d g iæûj nK, cÖavbgš¿xi A_©‰bwZK Dc‡`óv W. gwmDi ingvb Ges kÖg I Kg©ms¯’vb cÖwZgš¿x †eMg gbœyRvb mywdqvb| mfvcwZZ¡ K‡ib `y‡h©vM e¨e¯’vcbv gš¿Yvj‡qi mwPe †gvt †gvL‡jQzi ingvb| 

e³…Zv K‡ib msm` m`m¨ †mvnive Avjx mvbv, †gvjøv Rvjvj DwÏb I bbx †Mvcvj gÛj, msiwÿZ Avm‡bi msm` m`m¨ b~i Avd‡ivR Avjx, Lyjbv †Rjv AvIqvgx jx‡Mi mfvcwZ †kL nviæbyi ikx`, mvaviY m¤úv`K Gm Gg †gv¯Ídv iwk`x myRv, gnvbMi AvIqvgx jx‡Mi mn-mfvcwZ KvRx Gbv‡qZ †nv‡mb cÖgyL| ¯^vMZ e³…Zv K‡ib Lyjbvi †Rjv cÖkvmK †gvt Rg‡mi Avnv¤§` L›`Kvi| cÖavbgš¿xi we‡kl mnKvix I AvIqvgx jx‡Mi †K›` xq hyM¥ m¤úv`K gvnveyeyj Avjg nvwbd g‡Â Dcw¯’Z wQ‡jb| 

Kqiv msev``vZv ûgvqyb Kwei Rvbvb, Abyôv‡b cÖavbgš¿x AvBjv `yM©Z Kqivi 10 Rb I `v‡Kv‡ci 10 R‡bi gv‡S M„nwbg©v‡Yi †PK, kvwo-jyw½ I †mvjvi c¨v‡bj cÖ`vb K‡ib| Abyôvb¯’j I Zvi Avkcv‡k wQj Kov wbivcËv e¨e¯’v| gv‡V ¯’vb msKzjvb bv nIqvq `~i`~ivšÍ †_‡K Avmv wecyjmsL¨K gvbyl iv¯Ívi Ici `uvwo‡q cÖavbgš¿xi e³…Zv †kv‡bb| 

Lyjbvi Kqiv Dc‡Rjvi 27 nvRvi 400 cwievi‡K 54 †KvwU 80 nvRvi UvKv Ges `v‡Kvc Dc‡Rjvi 10 nvRvi 600 cwievi‡K 21 †KvwU 20 jvL UvKv cÖ`vb Kiv n‡e| cÖwZwU cwievi‡K †`Iqv n‡e 20 nvRvi UvKv| 

hy×vciv‡ai wePvi Kvh©µg ïiæ n‡q‡Q

cÖavbgš¿x †kL nvwmbv e‡j‡Qb, 1971 mv‡j ¯^vaxbZv hy×Kv‡j gvbeZv we‡ivax Aciva msNUbKvix‡`i wePvi Kvh©µg ïiæ n‡q‡Q| mvZÿxivq MZKvj GK Rbmgv‡e‡k e³…ZvKv‡j wZwb e‡jb, Ôevsjv‡`‡ki gvwU‡Z Aek¨B Zv‡`i wePvi n‡eÕ| wZwb Av‡iv e‡jb, RvwZi wcZv e½eÜz †kL gywReyi ingv‡bi ¯^cœ Abyhvqx gyw³hy‡×i †PZbvq evsjv‡`k †mvbvi evsjvq cwiYZ n‡e| BwZc~‡e© wb¤œ Av`vj‡Z `v‡qi Kiv 1971 mv‡j hy×vciva mswkøó 3wU gvgjv we‡kl UªvBey¨bv‡j cvVv‡bvi 2 w`b ci cÖavbgš¿x G e³e¨ cÖ`vb Ki‡jb|

Gw`‡K UªvBey¨bv‡ji GK Kg©KZ©v evmm‡K Rvbvb, XvKvq wewfbœ mgq wZbwU _vbvq `v‡qi Kiv c„_K 3wU gvgjv wb¤œ Av`vjZ †_‡K we‡kl UªvBey¨bv‡j cvVv‡bv n‡q‡Q| AvBbRxex c¨v‡b‡ji mnvqZvq we‡kl Z`šÍ ms¯’v IB gvgjvi Z`šÍ Ki‡e| PjwZ eQ‡ii gv‡P© GKB AvB‡bi Aax‡b IB UªvBey¨bv‡ji m‡½ GB AvBbRxex c¨v‡bj MVb Kiv nq|


URL: http://ittefaq.com.bd/content/2010/07/24/news0447.htm



Thursday, July 22, 2010

কার্যদিবস ছিল ৩৩ বিল পাস হয় ২৪

সংসদ বার্তা পরিবেশক
আগামী অধিবেশনে প্রধান বিরোধী দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সংসদ আরও বেশি প্রাণবন্ত ও কার্যকর হওয়ার আশা প্রকাশ করে ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী নবম জাতীয় সংসদের (৫ম) বাজেট অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের আদেশে ডেপুটি স্পিকার অধিবেশন সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর অধিবেশন সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। চলতি অধিবেশন শুরু হয় ২ জুন। ১০ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১০-২০১১ সালের বাজেট পেশ করেন ও ৩০ জুন পাস হয়।
উল্লেখ্য, এবারের বাজেট অধিবেশনে মোট কার্যদিবস ছিল ৩৩টি। বাজেটের ওপর মোট ৪০ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে মূল বাজেটের ওপর ৩৮ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট এবং সম্পূরক বাজেটের ওপর ২ ঘণ্টা আলোচনা হয়। মূল বাজেটের ওপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১৮৪ জন, জাতীয় পার্টির ২০ জন, জাসদের ২ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির ২ জন, এলডিপির ১ জন এবং ১ জন স্বতন্ত্র সংসদসদস্য আলোচনায় অংশ নেন। এছাড়া সম্পূরক বাজেটের ওপর ১০ জন সদস্য অংশ নেন। বাজেট পাস ছাড়া এ অধিবেশনে ৩৪টি সরকারি বিলের মধ্যে ২৪টি বিল পাস হয়। এছাড়া আইন প্রণয়ন সম্পর্কিত কাজ সম্পাদনের পাশাপাশি কার্যপ্রণালী-বিধির ৭১ বিধিতে ৬৩৯টি নোটিশ পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ৩৩টি নোটিশ গৃহীত হয়েছে এবং গৃহীত নোটিশের মধ্যে ২৪টি নোটিশ সংসদের বৈঠকে আলোচিত হয়েছে। ৭১ (ক) বিধিতে দুই মিনিটের আলোচিত নোটিশের সংখ্যা ২১০টি।
সমাপনী বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দানের জন্য সর্বমোট ২৩০টি প্রশ্ন পাওয়া যায়, এর মধ্যে তিনি সম্পূরকসহ ৭৮টি প্রশ্নের উত্তর দেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের উত্তরদানের জন্য প্রাপ্ত মোট ৪১১৪টি প্রশ্নের মধ্যে মন্ত্রীরা ২৩৭২টি প্রশ্নের জবাব দেন। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীবর্গ সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে বিবৃতি প্রদান করেন। এ অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মহাজোট সরকারের দ্বিতীয় বাজেট পেশ করেছেন। ভিশন ২০২১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকার বাজেট পেশের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এবারই প্রথম বারের মতো অর্থমন্ত্রী সংসদে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাজেট পেশ করেছেন।
তিনি বলেন, বাজেট অধিবেশনে সংসদ-সদস্যরা বাজেটের ওপর আলোচনা করে যে মূল্যবান মতামত দিয়েছেন তা জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। প্রধান বিরোধী দলের সংসদ-সদস্যরা বাজেট আলোচনায় অংশ নিলে তাদের মূল্যবান মতামতের আলোকে বাজেটকে আরও গঠনমূলক করা যেত। সকলের সরব অংশগ্রহণে এবারের এ অধিবেশনটি হয়ে উঠেছিল প্রাণবন্ত ও কার্যকর। ভবিষ্যতেও সরকারি ও বিরোধীদলের সদস্যরা আইন প্রণয়নসহ সংসদের সব কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্রের যাত্রাকে আরও বেগবান করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

RyjvB 23, 2010, ïµevi : kªveY 8, 1417


e¨vj‡Ui gva¨‡g ¶gZvi cwieZ©b
wbwðZ Ki‡ZB msweavb ms‡kvab



msm‡` mgvcbx e³…Zvq †kL nvwmbv

msm` wi‡cvU©vi

cÖavbgš¿x I msm` †bZv †kL nvwmbv e‡j‡Qb, ey‡j‡Ui gva¨‡g bq, e¨vj‡Ui gva¨‡g ¶gZv cwieZ©b wbwðZ Ki‡ZB msweavb ms‡kva‡bi D‡`¨vM †bqv n‡q‡Q| RbM‡Yi ¯^vaxb-mve©‡fŠg ¶gZv cÖwZôv, mvsweavwbK ¶gZv wPiw`b Ae¨vnZ ivLv, gyw³hy‡×i †PZbv cybtcÖwZôv Ges RbM‡Yi g¨v‡ÛU ev¯-evqb Ki‡ZB msweavb ms‡kvab Kiv n‡e| e„n¯úwZevi RvZxq msm‡`i mgvcbx e³…Zvq wZwb Gme K_v e‡jb| †kL nvwmbv MYZš¿‡K mymsnZ Ki‡Z we‡ivax `j‡K msm‡` wd‡i Avmvi AvnŸvb Rvwb‡q e‡jb, RbM‡Yi †fv‡U hw` ¶gZvq Avm‡Z Pvb Z‡e Zuv‡`i Rb¨ KvR Ki‡Z n‡e| ¶gZvq Avm‡Z n‡j RbM‡Yi Av¯’v AR©b Ki‡Z n‡e| †KD Avcbv‡`i †Kv‡j Zz‡j wb‡q wM‡q ¶gZvq emv‡e bv| we‡ivax `j g‡b K‡i, Zv‡`i †Kv‡j Zz‡j wb‡q wM‡q †KD ¶gZvq emv‡e, GUv hv‡Z bv nq †m Rb¨B msweavb ms‡kvabxi GB D‡`¨vM †bqv n‡q‡Q| wZwb e‡jb, we‡ivax `j msm`-Av`vjZ wKQz gv‡b bv, Zvn‡j Zviv PvqUv Kx? msweavb ms‡kvab KwgwU‡Z we‡ivax `‡ji bvg PvIqv n‡qwQj| wKš‘ Zviv †Kb bvg w`j bv Avgiv Rvwb bv| KwgwU KvR ïi“ K‡i‡Q| KwgwU RbM‡Yi Av¯’v c~iY Ki‡e|

`xN© cÖvq 40 wgwb‡Ui mgvcbx e³‡e¨ cÖavbgš¿x †kL nvwmbv miKv‡ii wewfbœ mvd‡j¨ Ges cwiKíbvi K_v Zz‡j aivi cvkvcvwk we‡ivax `‡ji msm` eR©b, †bwZevPK ivRbxwZiI K‡Vvi mgv‡jvPbv K‡i e‡jb, RbMY Avgv‡`i †fvU w`‡q‡Q, Avgiv msm‡` G‡mwQ| miKvwi `‡ji cvkvcvwk we‡ivax `j‡K mgvb my‡hvM w`‡qwQ| Zv‡`i cÖwZ mnbkxj n‡qwQ| we‡ivax `j †Kb msm‡` Av‡m bv, Kx KviY I `vweÑ ZvivB †`kevmx‡K Rvwb‡q‡Q|

msm` †bZv e‡jb, cÖ_‡g ejv n‡qwQj Avm‡bi Rb¨ Avm‡Q bv| Zv‡`i Avmb evov‡bv n‡q‡Q| GLb Zviv m¤ú` I evwo i¶vi Rb¨ msm` eR©b Ki‡Q| ivR‰bwZK †Kvb Bmy¨ ev RbKj¨v‡Yi †Kvb Bmy¨ †bB|

cÖavbgš¿x e‡jb, eZ©gvb miKvi MV‡bi ci G ch©š- gwš¿mfvi 83 fvM wm×vš- ev¯-evqb Kiv n‡q‡Q| msm‡` 113wU AvBb cvm K‡iwQ| GZ Aí mg‡q GZ AwaK AvBb AZx‡Z KLbI cvm nqwb| wZwb e‡jb, AZxZ wb‡q NuvUvNuvwU bq, wKš‘ AZx‡Zi K_v RbMY‡K ¯§iY Kwi‡q w`‡Z PvB| G‡Z gvbyl AZx‡Zi m‡½ eZ©gv‡bi Zzjbv Ki‡Z cvi‡e| wg_¨vPvi K‡i we‡ivax `j RbMY‡K weåvš- Ki‡Q|

wZwb e‡jb, Pvi`jxq †RvU M¨vm I †`k wewµi gyP‡jKv w`‡q †fvU KviPzwci gva¨‡g ¶gZvq G‡mwQj| `ybx©wZ, ¯^RbcÖxwZ, mš¿vm, jyUcvU I Rw½ev‡`i DÌvb NwU‡q‡Q, RbM‡Yi Kj¨v‡Y †Kvb wKQz K‡iwb| gvby‡li mgm¨vi mgvavb K‡iwb| Pvi`jxq †Rv‡Ui cuvP eQ‡ii `ybx©wZ I `jxqKiY Avi ZË¡veavqK miKv‡ii `yÕeQ‡ii A_©‰bwZK ¯’weiZvi g‡a¨ ¶gZv wb‡qwQ| ¶gZvq G‡m mewKQz‡ZB MwZ G‡bwQ| A_©bxwZ‡KI MwZkxj K‡iwQ| wZwb e‡jb, AZxZ wb‡q NuvUvNuvwU bq, AZxZ †_‡K wk¶v wb‡q fwel¨‡Z Pjvi Rb¨ AZx‡Zi wKQz wKQz NUbv ¯§iY Kwi‡q w`‡Z PvB| Avgv‡`i we‡ivax `j msm‡` bv G‡m evB‡i wKQy ivR‰bwZK e³e¨ w`‡q RbMY‡K weåvš- Ki‡Z Pv‡”Q| Avgv‡`i wei“‡× M¨vm wewµ, †`k wewµi wg_¨v AccÖPvi Pvwj‡q we‡kl gn‡ji Kv‡Q gyP‡jKv w`‡q 2001 mv‡j Zviv ¶gZvq G‡mwQj| ¶gZvq G‡m Zviv gvby‡li mgm¨vi mgvavb bv K‡i Rw½ev‡`i DÌvb NwU‡q‡Q| jyUcvU Avi `yb©xwZi ivRZ¡ Kv‡qg K‡i‡Q| Avgiv †h Pvj 10 UvKv †KwR †i‡L G‡mwQjvg, †mB Pvj Zviv 45 UvKv †KwR‡Z wb‡qwQj| Avgiv `ªe¨g~j¨ wbqš¿‡Y †i‡LwQjvg|

msm` †bZv e‡jb, A_©bxwZ‡K MwZkxj †i‡LwQ| weMZ A_©eQ‡ii ev‡R‡Ui Dbœqb cwiKíbvi 91% ev¯-evqb K‡iwQ| AvMvgx‡Z 100 fvM KvR Kie, †m j¶¨ wb‡qB GwM‡q hvw”Q| GKw`‡K weGbwc-RvgvqvZ Pvi`jxq †RvU miKv‡ii jyUcvU; Ab¨w`‡K ZË¡veavqK miKv‡ii `y&B eQ‡ii ¯’weiZvi g‡a¨ Avgiv ¶gZvq G‡m cÖkvm‡b MwZkxjZv G‡bwQ|

wZwb e‡jb, ZË¡veavqK miKv‡ii Awbq‡gi cÖwZev` Kivq Avgv‡K we‡`‡k †h‡Z †`qv nqwb| Avevi hLb †Mjvg ZLb Avm‡Z evav †`qv n‡q‡Q| †bZv‡`i wei“‡× wg_¨v gvgjv w`‡q‡Q| Pvi`jxq †RvU †hgb wg_¨v gvgjv w`‡qwQj, ZvivI †miKg gvgjv K‡i‡Q| ZË¡vevavqK miKvi e¨v‡jÝ Kivi bv‡g Zviv mevi bv‡g gvgjv w`‡q ÔgvBbvm Uz digyjvÕ w`‡q evsjv‡`k‡K ivRbxwZk~b¨ Ki‡Z †P‡qwQj| wKš‘ RbMY Ges Avš-R©vwZK Pv‡c †kl ch©š- wbe©vPb w`‡Z eva¨ nq|

GK-GMv‡ivi Rb¨ we‡ivax `j‡K `vqx K‡i cÖavbgš¿x e‡jb, cuvP eQ‡ii jywÉZ A_© i¶v, `ybx©wZi A_© †fvM Kivi Rb¨ msweavb jsNb K‡i weGbwc-RvgvqvZ †RvU ivóªcwZ BqvRDwÏb‡K ZË¡veavqK miKv‡ii cÖavb K‡iwQj| AvIqvgx jxM I gnv‡RvU‡K wbwðý I Rw½ev` m„wó K‡i ¶gZvq _vK‡Z †P‡qwQj| BqvRDwÏb-AvwRR gvK©v wbe©vP‡bi gva¨‡g ¶gZvq _vK‡Z cÖnm‡bi wbe©vPb Ki‡Z †P‡qwQj| †fvU KviPzwc Ki‡Z GK †KvwU 23 jvL fyqv †fvUvi K‡iwQj| IB mg‡q †fv‡Ui AwaKvi i¶vi Av‡›`vj‡b bvgvi Aciv‡a 68 Rb‡K ¸wj K‡i nZ¨v Kiv n‡qwQj| weGbwc Ggb Ae¯’v m„wó K‡iwQj e‡jB Iqvb-B‡j‡f‡bi m„wó I Ri“wi Ae¯’v Rvwi nq| ZvB GK-GMv‡ivi Rb¨ weGbwc-RvgvqvZ †RvUB `vqx|

we`vqx ZË¡veavqK miKv‡ii mgv‡jvPbv K‡i †kL nvwmbv e‡jb, IB mg‡q Ab¨v‡qi cÖwZev` K‡iwQjvg e‡jB Zuv‡K †`‡k Avm‡Z evav †`qv n‡qwQj| wg_¨v gvgjv w`‡q †MÖdZvi Kiv n‡qwQj| e¨v‡j‡Ýi bv‡g ev gvBbvm Uz dgy©jvi gva¨‡g ivRbxwZwe`‡`i we`vq Rvbv‡bvi cÖ‡Póv P‡j‡Q| RvZxq I Avš-R©vwZK Pv‡c wbe©vPb w`‡Z eva¨ nq, wbe©vP‡b RbMY Avgv‡`i ivq †`q|

wZwb e‡jb, ZË¡veavqK miKv‡ii Avg‡j GKUv fv‡jv KvR K‡i‡Q, weGbwc-RvgvqvZ †Rv‡Ui eêvnxb `ybx©wZi gy‡Lvk RvwZi mvg‡b Zz‡j a‡i‡Q|

†kL nvwmbv AviI e‡jb, RbM‡Yi Av¯’v-wek¦v‡mi gh©v`v Aek¨B i¶v Kie| †m j¶¨ †i‡LB RbKj¨vYgyLx GB ev‡RU w`‡qwQ| we`y¨r-M¨vm I cvwb msKU wb‡q Avgv‡`i miKv‡ii hvÎv ïi“| mvZ eQ‡i we`y¨r Drcv`b ev‡owb| cyi‡bv we`y¨r †K›` ¸‡jvI †givgZ Kiv nqwb| ZvB mvZ eQ‡ii msKU †gvKv‡ejv Ki‡Z n‡”Q eZ©gvb miKvi‡K| ZviciI eZ©gvb miKvi e‡m †bB, `ª“Z c`‡¶c wb‡q mgm¨v mgvav‡bi †Póv KiwQ| Lv`¨ wbivcËv wbwðZ Ges K…lK‡`i Drcvw`Z c‡Y¨i b¨vh¨g~j¨ w`‡Z Pv‡ji `vg wKQyUv evov‡Z n‡q‡Q| wKš‘ Zvi Av‡MB Avgiv mevi †eZb-fvZv evwo‡qwQ| G‡Z mevi Avq †e‡o‡Q| msm` †bZv e‡jb, eZ©gvb †`‡k A‡bK mgm¨v Av‡Q, †m¸‡jv eZ©gvb miKv‡ii m„ó bq| mvZ eQ‡ii mgm¨v †`o eQ‡i mgvavb Kiv hvq bv| G †¶‡Î miKv‡ii Avš-wiKZvi †Kvb Afve †bB| ZeyI we‡ivax `j msm‡` bv G‡m evB‡i wg_¨vPvi K‡i RbMY‡K weåvš- Ki‡Q|

wZwb e‡jb, msm`xq MYZš¿ I RbM‡Yi †fv‡Ui AwaKvi Pvq bv| PÆMÖv‡g weRqx nIqvi ciI KviPzwci Awf‡hvM Av‡b| Z‡e we‡ivax `j KviPzwc K‡iB †mLv‡b wR‡Z‡Q wK bv? wZwb e‡jb, GK mvgwiK kvmK A‰eafv‡e ¶gZv `Lj K‡i Ges ¶gZvi Dw”Qó wewj‡q GB `jwUi Rš§ w`‡qwQj| ZvB GB `jwU MYZ‡š¿ wek¦vm K‡i bv e‡jB msm‡` Av‡m bv|

niZvj †W‡K †cUªj †X‡j gvbyl cywo‡q nZ¨vi mgv‡jvPbv K‡i wZwb e‡jb, GKmgq Zviv niZv‡ji wei“‡× K_v e‡jwQj| GLb Zviv niZv‡ji bv‡g Ges GKRb gymjgvb n‡q Av‡iK gymjgvb‡K †cUªj †X‡j cywo‡q gvi‡Q| wZwb cÖkœ †i‡L e‡jb, dvi“‡Ki Kx †`vl wQj? Zv‡K †Kb †cUªj †X‡j cywo‡q gviv nj? BwÄwbqvi Kv‡mg‡K BU w`‡q AvNvZ K‡i gv_v †_uZ‡j †`qv n‡q‡Q| GUvB weGbwci PwiÎ|

msm` †bZv e‡jb, 2001 mvj †_‡KB Zviv G ai‡bi AcKg© K‡i Avm‡Q| wZwb †RvU miKv‡ii Avg‡j i¨ve w`‡q GK eQ‡i 4kÕ Ges Acv‡ikb wK¬b nv‡U©i bv‡g 157 Rb gvbyl nZ¨vi K_v ¯§iY Kwi‡q †`b|

msm‡`i evB‡i ev‡RU †`qvi mgv‡jvPbv K‡i cÖavbgš¿x e‡jb, we‡ivax`jxq †bÎx msm‡` bv G‡m evB‡i cuvPZviv †nv‡U‡j ev‡RU w`‡q‡Qb| †Kb msm‡` bv G‡m evB‡i ev‡RU w`‡jbÑ GUvB RvwZi cÖkœ| miKvwi Kg©KZ©v‡`i dvB‡j mB bv Ki‡Z ûgwK w`‡q‡Qb| GUv wK ai‡bi K_v?

†kL nvwmbv e‡jb, cÖavbgš¿x n‡qI eZ©gvb we‡ivax`jxq †bÎx Rwigvbv w`‡q Kv‡jv UvKv mv`v K‡i‡Qb| Gme Kv‡jv UvKv Av‡m †Kv_vq †_‡KÑ cÖkœ †i‡L wZwb e‡jb, ¶gZvq _vK‡Z `ybx©wZ K‡i‡Qb, GUvB Zuvi eo cÖgvY| `ybx©wZi my‡hvM †bB e‡jB †eva nq we‡ivax `‡ji msm‡` Avm‡Z Ggb AvcwË|

wcjLvbv nZ¨vKvÊ cÖm‡½ wZwb e‡jb, wewWAvi NUbvi Av‡MB we‡ivax`jxq †bÎx evwo †_‡K †ewi‡q †M‡jb, wZbw`b jywK‡q _vK‡jb? †`o gvm K¨v›Ub‡g‡›Ui evwo‡Z _vK‡jb bv| Gi †cQ‡b inm¨ Kx? GLb †mbvevwnbxi evwo Qvo‡Z Zvi GZ Kó †Kb? wZwb e‡jb, gwš¿mfvq Zv‡K ¸jkv‡bi GKwU evwo eivÏ †`qv n‡qwQj| †mLv‡b wZwb K¨v›Ub‡g‡›Ui m¤úwË `Lj Ki‡jb †Kb?

wZwb e‡jb, wewWAv‡ii Acivaxiv †invB cv‡e bv, kvw¯- †c‡ZB n‡e| gvgjv n‡q‡Q, PvR©wkUI †`qv n‡q‡Q| GKgvÎ weGbwc Qvov mevB IB KwVb mg‡q G‡m‡Q| wKš‘ weGbwc jywK‡q wQj wK‡mi Avkvq Zv Rvwb bv| KviY weGbwci Rš§UvB n‡”Q AMYZvwš¿Kfv‡e| †Rbv‡ij wRqv ¶gZv `L‡ji mgq AmsL¨ †mbv Kg©KZ©v‡K nZ¨v Kiv n‡q‡Q| Õ77 mv‡j ivóªcwZ wn‡m‡e †NvlYv †`qvi ci 9 †_‡K 30 A‡±vei 117 mvgwiK Kg©KZ©v‡K duvwm‡Z nZ¨v Kiv nq| Kzwgj v, e¸ov, ivRkvnxmn †`‡ki wewfbœ KvivMv‡i kZ kZ †mbvm`m¨‡K duvwm‡Z Szwj‡q nZ¨v K‡i‡Q| e½eÜzi Lywb‡`i Bb‡WgwbwU w`‡q cybe©vwmZ K‡i|

cÖavbgš¿x e‡jb, BwZnvm weK…wZ weGbwci PwiÎ| Zviv D”P Av`vj‡Zi ivq gvb‡Z Pvq bv| D”P Av`vjZ ivq w`‡q‡Q e½eÜzB G‡`‡ki ¯^vaxbZvi †NvlYv w`‡q‡Qb| A_P Av`vj‡Zi iv‡qi cÖwZ e„×vOywj †`wL‡q BwZnvm weK…wZ Ki‡Q|

wk¶v½‡b mš¿v‡mi wei“‡× K‡Vvi ûwkqvwi D”PviY K‡i cÖavbgš¿x e‡jb, wek¦we`¨vjqmn wk¶v cÖwZôv‡bi †hLv‡bB †Kvb NUbv NU‡Q, †mLv‡bB miKvi K‡Vvi e¨e¯’v wb‡”Q| †`vlx †hB `‡jiB †nvK, KvD‡K Qvo †`qv n‡”Q bv| QvÎ`j-wkwei †Kv_vq †Kv_vq cÖ‡ek K‡i‡Q, Kviv Gme NUbv NUv‡”QÑ me Z_¨ msMÖn KiwQ| Avgvi `j ev QvÎjxM n‡jI ¶gv w`w”Q bv, †MÖdZvi KiwQ|

wZwb Bmjvgx wek¦we`¨vj‡q AcK‡g©i Rb¨ †MÖdZviK…Z‡`i Rvwg‡b gy³ nIqvi NUbv D‡j L K‡i e‡jb, Rvwg‡b Qvov †c‡qB IBme Acivax †di MʇMvj Ki‡Q| wZwb e‡jb, QvÎjxM ev AcK‡g©i m‡½ †hB RwoZ n‡e Zv‡`i †invB †bB| †Kvb ¶gv †`qv n‡e bv, wk¶v cÖwZôv‡b cwi‡ek m„wó‡Z hv wKQz Kiv †nvK Zv Kiv n‡e|

we‡ivax `‡ji D‡Ï‡k cÖavbgš¿x e‡jb, †hfv‡e AZ¨vPvi-wbh©vZ‡bi wkKvi n‡qwQjvg, Zv Avgiv KiwQ bv| Av¸b w`‡q cywo‡q gvi‡e Zv †g‡b †bqv n‡e bv| Rvbgv‡ji wbivcËv w`‡Z n‡e| mš¿vm I Rw½ev‡`i wei“‡× Avgv‡`i Awfhvb Ae¨vnZ _vK‡e| †KD G‡`i g`` w`‡j Zv‡KI Qvo †`qv n‡e bv| `w¶Y Gwkqvi g‡a¨ evsjv‡`k‡K kvwš-i, Dbœq‡bi I mg„w×kvjx K‡i M‡o Zzj‡Z PvB| we‡ivax `j Dbœqb Kv‡R evav w`‡j miKvi Kv‡Ri MwZ nviv‡e|

URL: http://jugantor.info/enews/issue/2010/07/23/news0320.php




২২ জুলাই ২০১০

সংবিধান সংশোধনে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে চেয়ারপারসন এবং সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে কো-চেয়ারম্যান করে ১৫ সদস্যের 'সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি' গঠন করা হয়েছে। জাতীয় সংসদের বুধবারের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ এই কমিটির সদস্যদের নাম প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে সর্বসম্মতভাবে তা পাস হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমু, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, রহমত আলী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) হাসানুল হক ইনু, নারী ও শিশু প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক আইন মন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু, ফজলে রাব্বী মিয়া, জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। কার্যপ্রণালী বিধির ২৬৬ বিধি অনুযায়ী এই কমিটির নাম প্রস্তাব করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কমিটি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারবে এবং প্রয়োজনে তাদেরকে কমিটিতে ডাকতে পারবে। শুক্রবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় অনুযায়ী সংবিধান সংশোধনে একটি সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি গঠন করা হবে।


Wednesday, July 21, 2010

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-০২


অনেকের প্রশ্ন বঙ্গবন্ধূ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন,এতদিন পরে এসব নিয়ে আলোচনা অর্থহীন ?
আমার উত্তর হচ্ছে এটি একটি ভুল ধারণা ....



আজ এই ভুল ধারণা নিয়েই আমার আলোচনা

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গ উঠলে এসব ঘাতক-দালালকেও দেখা যায় বঙ্গবন্ধূকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে। খুনী আল-বদর নেতারা তখন সঙ্গে উচ্চারণ করে বলে- তিনি তো সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন, এতদিন পরে এসব নিয়ে আলোচনা অর্থহীন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান যুদ্ধাপরাধী দালাল ও রাজাকারদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। কথাটা পুরো সত্যি নয়। ১৯৭৩ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে কার্যকর সাধারণ ক্ষমা ঘোষনার আওতায় প্রান্তিক পর্যায়ের দালাল ও রাজাকারদের ক্ষমা করা হয়েছে। হত্যা, লুটপাট, ধর্ষন এবং স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত এবং নেতৃস্থানীয় কোনো দালাল ও ঘাতককে এই ক্ষমা ঘোষণার আওতায় নেওয়া হয়নি।
সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার বঙ্গবন্ধু বলেন(১৯৭৩ সালের ৩০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধূ এই ঘোষণা দিয়েছিলেন।)

"যেসব লোক দীর্ঘদিন ধরে আটক রয়েছেন। এতদিনে তারা নিশ্চয়ই গভীরভাবে অনুতপ্ত। তারা নিশ্চয়ই তাদের অতীত কার্যকলাপের জন্য অনুশোচনায় রয়েছেন। আমি আশা করি তারা মুক্তিলাভের পর তাদের সকল অতীত কার্যকলাপ ভুলে গিয়ে দেশ গঠনের নতুন শপথ নিয়ে প্রকৃত দেশপ্রেমিকের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।"

তার পরের দিন স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে নিম্নোক্ত প্রেসনোটটি ইস্যু করা হয়।
প্রেসনোট : যারা ১৯৭২ সালের দালাল (বিশেষ ট্রাইবুনাল) আদেশ (পি.ও নং-৮, ১৯৭২ সালের) বলে আটক রয়েছেন অথবা সাজাভোগ করছেন তাদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শনের প্রশ্নটি সরকার আগেও বিবেচনা করে দেখেছেন। সরকার এ সম্পর্কে এখন নিম্নোক্ত ঘোষণা করছেন :

১. দুনম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত ব্যক্তিদের ও অপরাধ সমূহের ক্ষেত্র ছাড়া :

(ক) ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী দন্ডবিধি ৪০১ নং ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত আদেশবলে আটক ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের রেহাই দেওয়া হচ্ছে এবং উল্লিখিত আদেশ ছাড়া অন্য কোনো আইনবলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকলে তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার অনতিবিলম্বে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।

(খ) কোনো বিশেষ ট্রাইবুনালের সম্মুখে অথবা কোনো বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে উক্ত আদেশবলে বিচারাধীন সকল মামলা সংশ্লিষ্ঠ ট্রাইবুনাল ও ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে প্রত্যাহার করা হবে এবং উল্লিখিত আদেশ ছাড়া অন্য কোনো আইনে তাদের বিরুদ্ধে বিচারাধীন কোনো মামলা বা অভিযোগ না থাকলে তাদের হাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।

(গ) কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে উল্লিখিত আদেশবলে আনীত সকল মামলা ও তদন্ত তুলে নেওয়া হবে এবং উল্লিখিত আদেশ ছাড়া অন্য কোনো আইনে বিচার বা দন্ডযোগ্য আইনে সে অভিযুক্ত না হলে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। উল্লিখিত আদেশবলে ইস্যু করা সকল গ্রেফতারী পরোয়ানা, হাজির হওয়ার নির্দেশ অথবা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে হুলিয়া কিংবা সম্পত্তি ক্রোকের নোটিশ দেয়া থাকলে তা প্রত্যাহার বলে বিবেচিত হবে এবং গ্রেফতারী পরোয়ানা অথবা হুলিয়ার বলে কোনো ব্যক্তি ইতিপূর্বে গ্রেফতার হয়ে হাজতে আটক থাকলে তাকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হবে। অবশ্য সে ব্যক্তি উল্লিখিত দালাল আদেশ ছাড়া কোনো বিচার বা দন্ডযোগ্য অপর কোনো আইনে তার বিরুদ্ধে যদি কোনো মামলা না থাকে তবেই।
যাদের অনুপস্থিতিতেই সাজা দেওয়া হয়েছে অথবা যাদের নামে হুলিয়া বা গ্রেফতারী পরোয়ানা ঝুলছে তারা যখন উপযুক্ত আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা ও বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করবে কেবল তখনই তাদের বেলা ক্ষমা প্রযোজ্য হবে।

২. দন্ডবিধির ৩০২ নং ধারা (হত্যা), ৩০৪ নং ধারা, ৩৭৬ ধারা (ধর্ষণ), ৪৩৫ ধারা (গুলি অথবা বিস্ফোরক ব্যবহার করে ক্ষতিসাধন), ৪৩৬ ধারা (ঘর জ্বালানো) ও ৪৪৮ ধারায় (নৌযানে আগুন বা বিস্ফোরণ) অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্তগণ এক নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ক্ষমার আওতায় পড়বে না।

সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রতিবেদন : দৈনিক বাংলা ১ ডিসেম্বর ১৯৭৩
শিরোনাম : দালাল আইনে আটক সাজাপ্রাপ্তদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা ।

উপ-শিরোনাম : দেশের কাজে আত্মনিয়োগের জন্য ক্ষমাপ্রাপ্তদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আহ্বান : ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের ক্ষমা নেই ।

দৈনিক বাংলা: সরকার বাংলাদেশ দালাল আইনে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশ দালাল (বিশেষ ট্রাইবুনাল) অধ্যাদেশ ১৯৭২ বলে যারা আটক হয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা অথবা হুলিয়া রয়েছে এবং যারা এই আইনে সাজা ভোগ করছেন তাদের সকলের প্রতিই এই সাধারণ ক্ষমা প্রযুক্ত হবে এবং তারা অবিলম্বে মুক্তিলাভ করবেন। তবে নরহত্যা, নারী ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগ অথবা বিস্ফোরকের সাহায্যে ঘরবাড়ি ধ্বংস অথবা জলযান ধ্বংসের অভিযোগে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা প্রযুক্ত হবে না। গতকাল শুক্রবার রাতে প্রকাশিত এক সরকারী প্রেসনোটে এই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার কথা প্রকাশিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গতরাতে বলেন, দলমত নির্বিশেষে সকলেই যাতে আমাদের মহান জাতীয় দিবস ১৬ ডিসেম্বরে ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে দেশ গড়ার শপথ নিতে পারে সরকার সেজন্য দালাল আইনে আটক ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশ দালাল অধ্যাদেশে আটক ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যাতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর অনতিবিলম্বে জেল থেকে মুক্তিলাভ করতে পারেন এবং আসন্ন ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় উৎসবে যোগ দিতে পারেন বঙ্গবন্ধু সেজন্য তাদের মুক্তি তরান্বিত করতে স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। সাধারণ ক্ষমায় যারা মুক্তি পাবেন তাদের বিজয় দিবসের উৎসবে একাত্ম হতে এবং দেশ গঠনের পবিত্র দায়িত্ব ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষার শপথ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু তার সরকারের সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শনের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে বলেন, মুক্ত হয়ে দেশগঠনের পবিত্র দায়িত্ব গ্রহণের পূর্ণ সুযোগ তারা গ্রহণ করবেন এবং তাদের অতীতের সকল তৎপরতা ও কার্যকলাপ ভুলে গিয়ে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন তিনি এটাই কামনা করেন।
বঙ্গবন্ধু বলেন, বহু রক্ত, ত্যাগ তিতিক্ষা আর চোখের পানির বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। যে কোনো মূল্যে এই স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এবারের বিজয় দিবস বাঙালীর ঘরে ঘরে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের এক নতুন দিগন্ত উম্মোচিত করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কিছু লোক দখলদার বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করে আমাদের মুক্তি সংগ্রামের বিরোধিতা করেছিলেন। পরে বাংলাদেশ দালাল আদেশ বলে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে অনেকেই পরিচিত ব্যক্তি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দখলদার বাহিনীর সঙ্গে তাদের সহযোগিতার ফলে বাংলাদেশের মানুষের জীবনে অবর্ণনীয় দুঃখ দুর্দশা নেমে এসেছিল।
বঙ্গবন্ধু বলেন, এসব লোক দীর্ঘদিন ধরে আটক রয়েছেন। তিনি মনে করেন এতদিনে তারা নিশ্চয়ই গভীরভাবে অনুতপ্ত। তারা নিশ্চয়ই তাদের অতীত কার্যকলাপের জন্য অনুশোচনায় রয়েছেন। তিনি আশা করেন তারা মুক্তিলাভের পর তাদের সকল অতীত কার্যকলাপ ভুলে গিয়ে দেশ গঠনের নতুন শপথ নিয়ে প্রকৃত দেশপ্রেমিকের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।


সবশেষে তুলে ধরছি সে বছর ১৫ ডিসেম্বর রেডিও টিভিতে সম্প্রচার হওয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণে এ প্রসঙ্গে বলা অংশটুকু :

..." বিপ্লবের পর স্বাধীনতার শত্রু হিসেবে যারা অভিযুক্ত হয়েছিলো তাদেরও আমরা হত্যা করিনি, ক্ষমা করেছি... আমরা প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধ গ্রহণের নীতিতে বিশ্বাসী নই। তাই মুক্তিযুদ্ধের শত্রুতা করে যারা দালাল আইনে অভিযুক্ত ও দন্ডিত হয়েছিলেন তাদের সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়েছে। দেশের নাগরিক হিসাবে স্বাভাবিক জীবন যাপনে আবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি অন্যের প্রচারণায় যারা বিভ্রান্ত হয়েছেন এবং হিংসার পথ গ্রহণ করেছেন তারা অনুতপ্ত হলে তাদেরও দেশ গড়ার সংগ্রামে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে। ..."

তথ্য সূত্র: ১৯৭৩ সালের বিভিন্ন নিউস পেপার ।