সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ২০-০৭-২০১০
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সংবিধান সংশোধনের জন্য আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি গঠন করা হবে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর মতে, কাল বুধবারই কমিটি গঠন হয়ে যেতে পারে। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বে এই কমিটি হবে ১৫ সদস্যের।
সর্বদলীয় কমিটি গঠনের জন্য সরকারি দলের পক্ষ থেকে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সংসদের চিফ হুইপ আবদুস শহীদের সই করা চিঠিতে তাঁর মনোনীত বিএনপির একজন সাংসদের নাম চাওয়া হয়েছে। আজকের মধ্যে নাম পাঠাতে চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে সরকার আসলে কী চায়, তা আগে জানতে হবে। এ কমিটির কাজের ধরন কী হবে, তা জেনে বিএনপি সেখানে অংশ নেওয়া না-নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ, মন্ত্রীরা বিভিন্ন সময়ে নানা কথা বলেন।
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় বাস্তবায়ন করা সংসদের কাজ নয়। এর মাধ্যমে মূলত রাজনীতির দেউলিয়াত্ব ও রাজনীতিকদের দায়িত্বহীনতার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেন, যেহেতু সরকার বিরোধী দলের সহযোগিতা চাইছে, তাই বিএনপির ভেবে দেখতে হবে, সরকারকে সহযোগিতা করা যায় কি না।
জানা গেছে, সংসদে কমিটি গঠনের পর আলোচনা করে বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংশোধনীর উদ্যোগ নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা কয়েক দফা বৈঠক করে এ বিষয়ে খসড়া চূড়ান্ত করেছেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, এলডিপি, জাসদসহ সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী জামায়াত ছাড়া সব দলের সদস্য থাকবেন সর্বদলীয় এ কমিটিতে। ১৫ সদস্যের কমিটি হলে সরকারি দল আওয়ামী লীগ থেকেই ১০ জন সদস্য রাখার চিন্তা করা হচ্ছে। তবে কমিটির সদস্যসংখ্যা কোনো কারণে বাড়লে আওয়ামী লীগের সদস্যসংখ্যাও সেই অনুপাতে বাড়বে।
চিফ হুইপ আবদুস শহীদ প্রথম আলোকে বলেন, রোববার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর একান্ত সচিবের কাছে এ-সংক্রান্ত চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে নাম পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিরোধী দলের নাম পেলেই কমিটি চূড়ান্ত করা হবে। ২২ জুলাইয়ের মধ্যে কমিটি চূড়ান্ত করে তা সংসদে অনুমোদন করা হবে। আগামী অধিবেশনে সংবিধান সংশোধনী বিল পাস করা হতে পারে।
আবদুস শহীদ বলেন, যৌক্তিক কারণেই স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে এ কমিটিতে রাখা হচ্ছে না।
সূত্র জানায়, উচ্চ আদালতের দেওয়া রায় অনুযায়ী সংবিধান সংশোধনে সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি গঠন করা হবে। আগামী অধিবেশনেই এই কমিটির সুপারিশসহ বিভিন্ন সংশোধনী পাস করা হতে পারে। সংশোধনীর সময় সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী-সংক্রান্ত আদালতের রায় ছাড়াও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখা না-রাখার বিষয়টিও বিবেচনা করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত শুক্রবার গণভবনে সংবিধান সংশোধনে সর্বদলীয় কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন।
জানতে চাইলে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে এ অধিবেশনেই কমিটি গঠন করা হবে। তিনি বলেন, মহাজোটের বাইরেও সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের এ কমিটিতে রাখা হবে। তবে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর কোনো সদস্যকে এ কমিটিতে রাখার সুযোগ নেই।
সর্বদলীয় কমিটি গঠনের জন্য সরকারি দলের পক্ষ থেকে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সংসদের চিফ হুইপ আবদুস শহীদের সই করা চিঠিতে তাঁর মনোনীত বিএনপির একজন সাংসদের নাম চাওয়া হয়েছে। আজকের মধ্যে নাম পাঠাতে চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে সরকার আসলে কী চায়, তা আগে জানতে হবে। এ কমিটির কাজের ধরন কী হবে, তা জেনে বিএনপি সেখানে অংশ নেওয়া না-নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ, মন্ত্রীরা বিভিন্ন সময়ে নানা কথা বলেন।
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় বাস্তবায়ন করা সংসদের কাজ নয়। এর মাধ্যমে মূলত রাজনীতির দেউলিয়াত্ব ও রাজনীতিকদের দায়িত্বহীনতার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেন, যেহেতু সরকার বিরোধী দলের সহযোগিতা চাইছে, তাই বিএনপির ভেবে দেখতে হবে, সরকারকে সহযোগিতা করা যায় কি না।
জানা গেছে, সংসদে কমিটি গঠনের পর আলোচনা করে বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংশোধনীর উদ্যোগ নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা কয়েক দফা বৈঠক করে এ বিষয়ে খসড়া চূড়ান্ত করেছেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, এলডিপি, জাসদসহ সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী জামায়াত ছাড়া সব দলের সদস্য থাকবেন সর্বদলীয় এ কমিটিতে। ১৫ সদস্যের কমিটি হলে সরকারি দল আওয়ামী লীগ থেকেই ১০ জন সদস্য রাখার চিন্তা করা হচ্ছে। তবে কমিটির সদস্যসংখ্যা কোনো কারণে বাড়লে আওয়ামী লীগের সদস্যসংখ্যাও সেই অনুপাতে বাড়বে।
চিফ হুইপ আবদুস শহীদ প্রথম আলোকে বলেন, রোববার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর একান্ত সচিবের কাছে এ-সংক্রান্ত চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে নাম পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিরোধী দলের নাম পেলেই কমিটি চূড়ান্ত করা হবে। ২২ জুলাইয়ের মধ্যে কমিটি চূড়ান্ত করে তা সংসদে অনুমোদন করা হবে। আগামী অধিবেশনে সংবিধান সংশোধনী বিল পাস করা হতে পারে।
আবদুস শহীদ বলেন, যৌক্তিক কারণেই স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে এ কমিটিতে রাখা হচ্ছে না।
সূত্র জানায়, উচ্চ আদালতের দেওয়া রায় অনুযায়ী সংবিধান সংশোধনে সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি গঠন করা হবে। আগামী অধিবেশনেই এই কমিটির সুপারিশসহ বিভিন্ন সংশোধনী পাস করা হতে পারে। সংশোধনীর সময় সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী-সংক্রান্ত আদালতের রায় ছাড়াও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখা না-রাখার বিষয়টিও বিবেচনা করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত শুক্রবার গণভবনে সংবিধান সংশোধনে সর্বদলীয় কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন।
জানতে চাইলে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে এ অধিবেশনেই কমিটি গঠন করা হবে। তিনি বলেন, মহাজোটের বাইরেও সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের এ কমিটিতে রাখা হবে। তবে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর কোনো সদস্যকে এ কমিটিতে রাখার সুযোগ নেই।
No comments:
Post a Comment