Monday, July 19, 2010

১৯ জুলাই,২০১০

মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে উন্নয়ণশীল দেশগুলোকে বাস্তবসম্মত ও সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক ফোরামে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিন্ন অবস্থান নেয়ার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। সোমবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে রিজিওনাল ফোরাম ফর দ্য পলিসিমেকার অন দ্য লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রিজ এন্ড প্যাসিফিক রিজিওন শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। পাটের জেনোম সিকোয়েন্স আবিস্কারের ফলে সোনালী আঁশের এতিহ্য ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের জন্যে বিশাল এক অর্জন। এ উদ্ভাবনের ফলে পাটের আঁশের গুনগত মান, রং, দৈর্ঘ্য, শক্তি, ফলনশীলতা বৃদ্ধি পাবে এবং লবনাক্ততা ও পোকামাকড় প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে অতীত ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলেও জানান তিনি। পাটের বংশগতি কিংবা জেনোম সিক্যুয়েন্স উদ্ভাবনের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে উইপোর সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী। ওষুধ শিল্পের মেধাসম্পদ স্বত্বের ছাড় আরো ১৫ বছর বাড়াতে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থার কাছে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আঞ্চলিক ফোরামে দেয়া ভাষণে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন, দারিদ্র বিমোচনেও সংস্থাটির সহায়তা চান। তিনি বলেন, ওষুধ শিল্পের মেধাস্বত্বে ছাড়ের ফলে নিজের দেশতো বটেই বিশ্বের অন্তত ৭০টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে সেসব দেশের স্বাস্থ্যসেবায় অবদান রাখছে বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারীরা। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্পে বিশাল অগ্রগতি অর্জন করেছে। এটা সম্ভব হয়েছে এই শিল্পে মেধাসম্পদ স্বত্ব ছাড় দেয়ার ফলে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য সক্ষমতা অর্জন, পাচার হয়ে যাওয়া মেধা ফিরিয়ে আনা ও উন্নয়নের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কাজটি আরো জোরদার করার জন্য ডব্লিউ আই পি ওর কাছে আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে আন্তর্জাতিক পরিবেশ আজকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সুযোগের চাইতে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও অন্যান্য লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের এই ব্যবধান কাটিয়ে ওঠা দরকার।


No comments:

Post a Comment