Sunday, July 11, 2010

১ মে ২০১০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিল্পে শান্তি ও কর্মের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, মালিকদের যেমন শ্রমিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল তেমনি শিল্প রক্ষায় শ্রমিকদের দায়িত্ববান হতে হবে৷ প্রধানমন্ত্রী আজ ওসমানি মিলনায়তনে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন৷ বর্তমান সরকারকে শ্রমবান্ধব হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর সরকার শ্রমিকদের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে৷ এ প্রসঙ্গে শ্রমিকদের অবসরে যাওয়ার বয়স ৫৭ থেকে ৬০-এ উন্নীত করা, স্থায়ী মজুরি কমিশন ও নূন্যতম মজুরি বোর্ড গঠন, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা এবং শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্যে আচরণবিধি প্রণয়নসহ বিভিন্ন কর্মসূচির কথা তিনি উল্লেখ করেন৷ প্রধানমন্ত্রী পোশাক শিল্পে হঠাত্‍ করে সৃষ্ট বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছেন৷ সংগৃহীত তথ্যের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন এসব ঘটনার সাথে তৃতীয় পক্ষ জড়িত রয়েছে৷ শেখ হাসিনা বলেন, পোশাক শিল্পে ভাঙচুরের ঘটনায় মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও শ্রমিকরা লাভবান হয় না৷ তৃতীয় পক্ষ লাভবান হলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের দেশ৷ ইতোমধ্যে ঘটনার উস্কানিদাতাদের কিছু কিছু নাম সরকারের কাছে এসেছে এবং তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন৷ প্রধানমন্ত্রী উস্কানিদাতাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যারা দেশের ক্ষতি করবে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না৷ পোশাক শিল্পের শ্রমিক ও মালিকদের এসব উস্কানিদাতার বিরুদ্ধে সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে শ্রমিকরা যাতে মানবেতর জীবন-যাপন করতে না হয় সে ব্যাপারে তিনি মালিকদের সহানুভূতিশীল হতে বলেন৷ প্রধানমন্ত্রী পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের আবাসন সমস্যা সমাধানে তাঁর বিগত সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই শিল্পের শ্রমিকদের ডরমেটরি নির্মাণের জন্য মাত্র ১ শতাংশ হারে সুদের বিনিময়ে এনজিওদের ঋণ দেয়া হয়েছিল৷ ব্র্যাককে ১০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল৷ ব্র্যাক এ শিল্পের শ্রমিকদের জন্য ডরমেটরি তৈরি করেছিল৷ অন্য কোন এনজিও বা পোশাক শিল্পের মালিক ডরমেটরি নির্মাণে এগিয়ে এলে তিনি আশ্রয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে তাদেরকে সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন৷ শেখ হাসিনা দেশ ও জাতির উন্নয়নে শ্রমিক ও কৃষকের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারাই একটি দেশের উন্নয়নে মূল চালিকাশক্তি৷ কাজেই শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের ন্যায্য স্বার্থরক্ষা ও প্রকৃত কল্যাণ নিশ্চিত করতে না পারলে উন্নয়নের চাকা সচল রাখা কখনই সম্ভব নয়৷ তিনি সন্ত্রাস, একটি উন্নত সমৃদ্ধ আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় তাঁর সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন৷


No comments:

Post a Comment