Sunday, July 11, 2010


১১, জুলাই,২০১০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসিভুক্ত সদস্য দেশগুলো থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) জন্য একটি অভিন্ন তহবিল গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দারিদ্র্য দূরীকরণের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ্র কল্যাণে ওআইসি দেশগুলোর জন্য শিগগিরই অভিন্ন তহবিল গঠনের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।’ বাদশাহ্ খালেদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. নিজার ওবায়েদ মাদানীর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি একথা বলেন। পশ্চিম আফ্রিকার তেলসমৃদ্ধ দেশ নাইজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত ৭ম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান শেষে রাজধানী আবুজা থেকে দেশে ফেরার পথে এই বিমানবন্দরে তিনি দুই ঘণ্টার যাত্রাবিরতি করেন। এর আগে শেখ হাসিনা বাদশাহ খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাঁকে স্বাগত জানান। বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী মুসলিম উম্মাহ্র কল্যাণে একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীতার ওপর জোর দেন। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের নামে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদে লিপ্ত হওয়া কারো কাম্য নয়। তিনি বলেন, ইসলামের নামে জঙ্গীবাদ ও নিরপরাধ লোকদের হত্যার কোন সুযোগ নেই। শেখ হাসিনা বলেন, কিছু কর্মকাণ্ড, যা পবিত্র ধর্মের ইমেজ ম্লান করে দিচ্ছে তা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। সকল ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ বন্ধ করার ব্যাপারে তাঁর সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বাংলাদেশে ঘৃণ্য তৎপরতা বন্ধে তাঁর সরকার দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠককালে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সার্বিক বিষয় এবং বাণিজ্যের প্রসার ও দু’টি মুসলিম দেশের মধ্যে বিনিয়োগ বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সৌদি প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সৌদি বাদশা আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আল সউদের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। প্রধানমন্ত্রীও অনুরূপ শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুসলিম উম্মাহ্ এবং উভয় দেশের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। তিনি বিশেষভাবে সৌদি আরবসহ ওআইসি দেশগুলোকে বাংলাদেশের জ্বালানি ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে আরো বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিশ্বমানের তৈরি পোশাক, চামড়া, সিরামিক ও ওষুধ আমদানির জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানান।




০৯ জুলাই,২০১০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডি-৮ দেশগুলোর মধ্যে কার্যকর বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা গড়ো তোলায় শুল্ক ও আধা শুল্ক বাধা অপসারণের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী গতকাল ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণকালে বাণিজ্যকে উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘আমাদের প্রায় একশ’ কোটি মানুষের জন্য একটি সম্মিলিত বাজার থাকলেও বাণিজ্যের চিত্র হতাশাব্যঞ্জক।’ তিনি বলেন, মান সমন্বয় ও মান পরীক্ষায় অভিন্ন পদ্ধতির অভাব ইত্যাদি কারণে এই প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, এসব কারণে শুল্ক ও আধা শুল্ক বাধা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ডি-৮ দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ব্যাহত হচ্ছে। তিনি বলেন, ১২ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এ সংস্থাকে এখন আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং একশ’ কোটি মানুষের বাজারকে কাজে লাগিয়ে ডি-৮ দেশগুলো ২০১৮ সালের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ আন্তঃবাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। দুই বছর আগে ষষ্ঠ সম্মেলনে বাণিজ্যের এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং বেসরকারি খাতের অর্থবহ সহযোগিতার মাধ্যমে এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে সদস্য দেশগুলোকে অভিন্ন অঙ্গীকারের প্রতি আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে ডি-৮ দেশগুলোর অভিন্ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস জোরদার করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বাণিজ্য বাধা অপসারণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ডি-৮ দেশগুলোর মধ্যে শুল্ক বিষয়ে প্রশাসনিক সহায়তা সংক্রান্ত বহুমুখী চুক্তির সম্ভাবনা পরীক্ষা করছে। তিনি বলেন, গত বছর আমরা টিপিএস-ওআইসি (প্রিটাস)’র জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিক শুল্ক স্কীম সংক্রান্ত প্রটোকল অনুমোদন করেছি, যা ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। চলতি বছর আমরা ‘প্রটোকল অন দ্য রুলস অব অরিজিন অব ট্রেড প্রিফারেন্সিয়াল সিস্টেম অব দ্য ওআইসি’ স্বাক্ষর করবো উল্লেখ করে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এসব পদক্ষেপ ডি-৮ ও ওআইসি’র মধ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিকাশে সহায়ক হবে। তিনি অবশ্য বলেন, আমাদের ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক যোগাযোগের ওপর এসব পদক্ষেপের সাফল্য নির্ভর করছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সদস্য দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা সহজীকরণ প্রক্রিয়ায় ডি-৮ এর চার দেশের সঙ্গে চলতি বছরের মার্চে যোগ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডি-৮ সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। দোহা রাউন্ড আলোচনার পর ডি-৮ মুক্ত বাণিজ্য এলাকা গঠনে আমাদের জন্য কৌশল নির্ধারণ যথার্থই প্রয়োজনীয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নে ডি-৮ দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক দেশের বিশাল জ্বালানি উৎস রয়েছে, যা অন্যদেরকে সাশ্রয়ী মূল্যে দেয়া যেতে পারে। চাহিদা এবং সম্পদের বৈষম্য দূর করতে বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।



শিগগিরই পোশাক শ্রমিকদের মজুরি ঘোষণা করা হবে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
০৭, জুন,২০১০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পোশাক শিল্পে ভাঙচুরে উস্কানিদাতাদের সম্পর্কে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে বলেছেন, সরকার শিগগিরই শ্রমিকদের জন্যে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করবে। তিনি শ্রমিকদের ধৈর্য ধরার আহবান জানিয়ে বলেন, বেতন কাঠামোর ব্যাপারে মালিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। একই ধরনের কাজ করে পুরুষের তুলনায় মহিলা শ্রমিকদের পারিশ্রমিক কম পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার এ ধরনের বৈষম্য দূর করার জন্যে কাজ করছে। গতকাল সকালে গণভবনে যুবমহিলা লীগের অষ্টম ও মহিলা শ্রমিক লীগের সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আরো বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। শ্রমিকদের যে পরিমাণ মজুরি দেয়া হয় তা দিয়ে তাদের চলে না। কিন্তু ভাঙচুর করে তাদের কোনো লাভ হবে না। কারণ ভাঙচুরের ফলে বেশীরভাগ মালিকেরই কোন ক্ষতি হয় না। তারা বীমা থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়ে যান। অথচ ভাঙচুরের মাশুল গুণতে হয় শ্রমিকদেরই। শেখ হাসিনা যুবমহিলা লীগ ও মহিলা শ্রমিক লীগ গঠনের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে বলেন, নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠাই এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল। তিনি সংবিধান উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে নারী-পুরুষের সমঅধিকারের কথা বলা আছে। আওয়ামী লীগ সব সময়ই নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চাকরি ক্ষেত্রে মহিলাদের কোটা সংরক্ষণসহ মেয়েদের অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন।’ এ প্রসঙ্গে তিনি ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর সচিব, বিচারপতি, ডিসি, এসপিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ পদে মহিলাদের নিয়োগের কথা উল্লেখ করে বলেন, সে সময়েই দেশে সেনাবাহিনীতে মহিলা নিয়োগ শুরু করা হয়। এর আগে শুধুমাত্র মেডিকেল কোরেই মহিলাদের নিয়োগ দেয়া হতো। ‘কর্মক্ষেত্রে মহিলারা দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা-দীক্ষায় নিজেদের যোগ্য করে তুলে সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগনোর জন্যে মহিলাদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন বেশ কয়েকজন মহিলা। তাদের পারফরমেন্সও ভালো। গত নির্বাচনে একমাত্র আওয়ামী লীগই সবচেয়ে বেশী ১৭ জন মহিলাকে মনোনয়ন দিয়েছিল। এদের মধ্যে একজন বাদে সবাই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে এসেছেন।’ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, পাঁচ বছরে তারা দুর্নীতি, লুটপাট ছাড়া দেশের মানুষের জন্যে আর কিছুই রেখে যেতে পারেনি। তিনি দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎ ও পানিসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার সময়ও একই ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়েছে। পাঁচ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান ও দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলাম। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার জনগণের কল্যণে আমাদের নেয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করলে আজ দেশের এ অবস্থা হতো না।’ তিনি বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে ও খাদ্য নিরাপত্তা গড়ে তোলার ব্যাপারে তাঁর সরকারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা ইনশাল্লাহ সফল হবো।’ বিএনপি’র দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি ছাড়া পাঁচ বছরে কেউ হাজার কোটি টাকার মালিক হতে পারে না। তিনি বলেন, যে কোন মূল্যে দুর্নীতি-বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। কারণ দুর্নীতি মুক্ত না হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব নয়।




প্রধানমন্ত্রীর সংগে মাদার তেরেসা সেন্টার প্রতিনিধিদলের সাক্ষাত
জুলাই ০৪, ২০১০

মাদার তেরেসা সেন্টারের পরিচালক সিস্টার প্রেমার নেতৃত্বে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। প্রতিনিধিদল মাদার তেরেসার একশ’তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সফর করছেন। এ সময় তারা মাদার তেরেসা সেন্টার পরিচালিত ১৩টি আশ্রম পরিদর্শন করবেন। সাক্ষাতকালে সিস্টার প্রেমা মাদার তেরেসার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির একটি অ্যালবাম তাঁকে উপহার দেন। তিনি শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বলেন, তার মানবিক গুণাবলী ও কর্মকান্ডের সাথে মাদারের অনেক মিল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মাদার তেরেসার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, মাতৃভূমি ছেড়ে তিনি সুদূর প্রবাসে এসে মানবতার সেবা করে গেছেন। এ জন্যে যুগ যুগ ধরে সারা পৃথিবীর মানুষ তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তিনি প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে তাঁর সরকারের নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রতিটি হাসপাতালে তাদের জন্যে আলাদা বেড নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিশুদের সুচিকিসার ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। তিনি দেশের প্রতিটি বিভাগে সাভারের পক্ষাঘাত পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি)’র মতো কেন্দ্র স্থাপনে তাঁর সরকারের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেন, ইতিমধ্যে দেশে শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।




জুলাই ০৩, ২০১০

সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কার্যক্রম শুরু করার পদক্ষেপ নিতেই বিরোধীদল 'অস্থির' হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 'যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় বিরোধীদল তাদের পাশে দাড়িয়েছে'- এ কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, "যুদ্ধাপরাধীদের বাংলার মাটিতে বিচার হোক- এই পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। এজন্য বিরোধীদল অস্থির। বিরোধীদল এখন যুদ্ধাপরাধীদের পাশে দাড়িয়েছে। যতই তারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলুক, এখন তাদের আসল চেহারা বেরিয়ে গেছে।" তিনি বলেন, "দুর্নীতিবাজ ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা এবং সেনানিবাসের বাড়ি রক্ষা করাই বিএনপি চেয়ারপারসনের মূল লক্ষ্য হয়ে দাড়িয়েছে।" গণভবণে শনিবার দুপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভা ও রাজনৈতিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আবারও বিরোধীদলকে সংসদে এসে কথা বলার আহবান জানান। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, "কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সার্ভিস বন্ধ করে তারা জনগণকে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করেছিলো। এ জন্য তাদের বিচার হওয়া দারকার।" সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, "সম্পদের ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারলে জনগণ আর গরীব থাকবে না।" বিরোধীদলের হরতাল কর্মসূচীর তীব্র সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, "ফারুককে যখন আমি দেখতে গেছি, তখন সে আমাকে বলেছে- যখন গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে, তখন সে গাড়ি থেকে বেরুতে গেছে। তখন তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়েছে।" শেখ হাসিনা ক্ষুব্ধ কন্ঠে বলেন, "একজন মুসলমান একজন মুসলমানকে কিভাবে পুড়িয়ে মারতে পারে ?" প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলের নীতিনির্ধারকদের উদ্দেশে বলেন, "হরতাল করবেন, করেন। কিন্তু, মানুষ মারবেন কেন ? আমি বিরোধীদলীয় নেতাকে বলবো, মানুষ পুড়িয়ে মারার কথা ইসলামের কোন জায়গায় বলা আছে ?" শেখ হাসিনা বলেন, "কোন ইস্যুতে বিরোধীদল হরতাল দেবে ? চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন তো নিরপেক্ষ হয়েছে। এখন তো ইস্যু নেই। বিরোধীদল কী নিয়ে কথা বলবে ?" বিএনপি'র হরতালের কর্মসূচিতে মির্জা আব্বাসের বাড়িতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, "বাড়িতে হামলা হয়েছে। কিন্তু, আমি বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখলাম- শো কেসে জিনিষপত্র ঠিক মতোই সাজানো আছে। হামলা হলে শো' কেসে জিনিষপত্র কি করে সুন্দরভাবে সাজানো থাকে ?" শেখ হাসিনা আরো বলেন, "তারা হরতালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স ভেঙ্গেছে। অর্থোপেডিক ডিপার্টমেন্টের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে বসে ছিলো।" "যেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যদের আবাসন সমস্যার সমাধান হচ্ছে না, সেখানে খালেদা জিয়া ঢাকা সেনানিবাসে ১৮০ কাঠা সম্পত্তি দখল করে বসে আছেন। দুর্নীতিবাজ ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা এবং সেনানিবাসের বাড়ি রক্ষা করাই তার মূল লক্ষ্য," বলেন শেখ হাসিনা। ঢাকা সেনানিবাসের জায়গা ছেড়ে দিয়ে গুলশানে ৩৫ কাঠা জমির ওপর যে বাড়ি রয়েছে, সেখানে চলে যাওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমরা দেশী বিনিয়োগকে গুরুত্ব দিচ্ছি। পাশাপাশি বিদেশী বিনিয়োগও আসছে।"


No comments:

Post a Comment