Sunday, July 11, 2010

১৪ মে ২০১০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষের স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন ও সমান অধিকারে বিশ্বাসী এবং তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর৷ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত্‍ করতে গেলে তিনি একথা বলেন৷ শেখ হাসিনা বলেন, অসামপ্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সকল ধর্মের মানুষ দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংগ্রাম এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু কথায় নয়, মনে-প্রাণে অসামপ্রদায়িকতায় বিশ্বাসী৷ তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসামপ্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর৷ 'বর্তমান সরকার সকল ধর্মের মানুষের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ' উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের নবী করিম (স.) সকল ধর্মের মানুষের ধর্ম পালনের স্বাধীনতার কথা বলেছেন৷' যুগ যুগ ধরে সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগকে ভোটদানকারী কেউই বিএনপি-জামায়াত জোটের অত্যাচার-নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পায়নি৷ বাংলাদেশে অসামপ্রদায়িক রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, '১৯৬৪ সালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি সামপ্রদায়িক দাঙ্গা বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন৷ বিশিষ্ট আইনজীবী এস আর পালসহ অনেককেই নিজের বাসায় আশ্রয় দিয়েছেন৷' বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের দুনর্ীতি, অপকর্ম, লুটপাট, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ইত্যাদির কারণে ১/১১ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল৷ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিএনপি-জামায়াত জোটের বিভিন্ন অপচেষ্টার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে তারা পুনরায় ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করেছে৷ কিন্তু তালিকা থেকে ভুয়া ভোটারদের বাদ দেয়ার কারণেই '৭৫-এর পর এবারই দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে৷ আর সে জন্য আওয়ামী লীগ বিপুলভাবে জয়ী হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'জনগণ বিপুল ম্যান্ডেট দিয়ে আমাদের ওপর যে আস্থা দেখিয়েছে তা আমরা রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর৷ সেলক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি৷ আমরা দেশের মানুষকে উন্নত জীবন দিতে চাই৷' কতিপয় সংশোধনীসহ ২০০১ সালের অর্পিত সম্পত্তি আইন চালু ও হিন্দু ফাউন্ডেশন গঠনের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আপনাদের সাথে আলোচনা করেই করা হবে৷' মন্দির-মঠ দখলদারমুক্ত করার দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী দেশে মন্দির ও মঠের সংখ্যা এবং সেগুলোর সার্বিক চিত্র তুলে ধরে তালিকা তৈরির আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, 'আমরা ঐতিহ্যবাহী মন্দির, মসজিদ, মঠ, প্যাগোডাগুলোকে সংরক্ষণ করতে চাই৷ এ প্রসঙ্গে তিনি ঐতিহ্যবাহী কান্তাজির মন্দির উন্নয়নে একনেকের বৈঠকে প্রকল্প পাস করার কথা উল্লেখ করেন৷


No comments:

Post a Comment