Sunday, July 11, 2010


২৬ এপ্রিল ২০১০

মন্ত্রিসভা কয়েকটি ধারা সংশোধন ও সংযোজন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর সংশোধনী প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে৷ আজ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়৷ এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরো কার্যকর ও জবাবদিহি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ কমিশনকে শক্তিশালী করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়াই তাঁর সরকারের লক্ষ্য বলে তিনি উেল্লখ করেন৷ মন্ত্রিসভার আজকের বৈঠকে যুব কর্মসংস্থান নেটওয়ার্কে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০১০-এর সংশোধনী প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়৷ এছাড়া 'পাওয়ার পয়েন্ট'র মাধ্যমে দেশের বিদু্যত্‍ খাতের সার্বিক কর্মকাণ্ড বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়৷আজকের বৈঠকে 'সার্ক কনভেনশন অন কো-অপারেশন অন এনভায়রমেন্টে'র স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়৷দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের সংশোধনী প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দমনের লক্ষ্যে কমিশনের আইনের সংশোধনীর প্রয়োজন৷দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন ও সংযোজন করে গৃহীত সংশোধনীর খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে,দুর্নীতি বিষয়ক কোন অভিযোগের অনুসন্ধান বা তদন্তের সময় সরকার বা সরকারের অধীনস্থ কতৃর্পক্ষ বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ও পারদর্শী কর্মকর্তাদের সহায়তা চাইতে পারবে৷ সংশোধনী প্রস্তাবে কমিশনের কাছে মিথ্যা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান করা হয়েছে৷ মিথ্যা অভিযোগকারীর ৫ বছরের জেল-জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে৷ যুব কর্মসংস্থান নেটওয়ার্কে বাংলাদেশের অন্তভুর্ক্তির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী যুব সমাজের অধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার উদ্যোগে যুব কর্মসংস্থান নেটওয়ার্ক কাজ করে যাচ্ছে৷ ২০০১ সালে এই নেটওয়ার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়৷ ২০০২ সাল পর্যন্ত ২১টি দেশ এই নেটওয়ার্কের অন্তভুর্ক্ত হয়েছে৷ যুব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কারিগরি সহায়তা, সক্ষমতা অর্জন, তহবিল সংগ্রহে সহায়তা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এই নেটওয়ার্ক থেকে পাওয়া যাবে৷ মন্ত্রিসভা প্রস্তাবটি অনুমোদন করে৷


No comments:

Post a Comment