Sunday, July 11, 2010

০১ জুন,২০১০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণসহ সবধরণের উন্মুক্ত স্থানে প্রত্যেককে অন্তত ৩টি গাছের চারা রোপণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আজ সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন মাসব্যাপী জাতীয় বৃক্ষরোপণ আন্দোলন ও এক মাসব্যাপী ‘জাতীয় বৃক্ষ মেলা-২০১০’ উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও সর্বস্তরের জনগণসহ সকলকে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের অন্তত ৩টি চারা রোপণ এবং সরকারের বৃক্ষরোপণ আন্দোলনে অন্যদের উৎসাহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৃক্ষ নিধনকারী যে দলেরই হোক না কেন তাকে গ্রেফতার করা হবে। সরকার কারো চেহারা বা দলীয় অবস্থান দেখে ব্যবস্থা নেবে না। বনায়ন ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার নতুন নতুন ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সৃষ্টি করে উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে নদী ড্রেজিং করে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে দেশে সবুজায়ন করা হবে। দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করছে সরকার। শেখ হাসিনা বলেন, নগরায়ন বনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাই নগরায়নের সঙ্গে বনায়নও করতে হবে। তিনি বলেন, দেশ থেকে পশুপাখি হারিয়ে যাচ্ছে। জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে। তাই জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পশুপাখি লালন-পালন করতে হবে। সরকার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রত্যেককে একটি করে ফলজ, বনজ ও ভেজষ গাছ রোপণের আহ্বান জানান। উদ্বোধনী অন্ষ্ঠুানে প্রধানমন্ত্রী বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের জন্য ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন-২০১০ ও প্রাইম মিনিস্টার ন্যাশনাল এওয়ার্ড-২০১০ প্রদান করেন।


৩০ মে,২০১০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিশ্বের ক্ষুদ্র দেশগুলোর প্রতি আসন্ন কানকুন সম্মেলনে অভিন্ন অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন৷তিনি আজ এখানে স্থানীয় এক হোটেলে 'গ্লোবাল ক্লাইমেট চেঞ্জ এলায়েন্স'র দু'দিনব্যাপী এশীয় সম্মেলন উদ্বোধনকালে আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্ষুদ্র দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ এবং বিভিন্ন দাবির ব্যাপারে সোচ্চার না হলে লক্ষ্য অর্জিত হবেনা এবং আলোচনার ফলাফল শেষ পর্যন্ত তাদের পক্ষে নাও আসতে পারে৷ পরিনতিতে এসব দেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়তে পারে৷ প্রধানমন্ত্রী ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্ষুদ্র দেশগুলোর ন্যায্য দাবিগুলোর প্রতি আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অভিন্ন অবস্থান গ্রহণের ওপর জোর দেন৷ তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আজ মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে৷ এতে দক্ষিণ এশিয়ার বিশাল জনগোষ্ঠি সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে৷ এই প্রভাব সঠিকভাবে এবং যথাসময়ে মোকাবেলা করতে না পারলে এ অঞ্চলের দেশগুলোর অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে৷ শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের সব দেশ সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না৷ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম৷ গত বছর সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় আইলা এবং ২০০৭ সালে সিডরের আঘাতে আমাদের উপকূলীয় অঞ্চল বিধ্বস্ত হয়েছিল৷ আগে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে এসব দুর্যোগে প্রাণহানির সংখ্যা কমলেও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক৷ আইলার আঘাতে উপকূলীয় বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে এবং ফসলী জমিতে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করেছে ৷ উপকূলীয় অঞ্চলের এক বিশাল এলাকা এখনো সমুদ্রের লোনা পানির নীচে তলিয়ে আছে৷ হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা হয়ে পড়েছে বিপন্ন৷ বর্তমান সরকার এসব দুর্গত মানুষের দুর্দশা লাঘবের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ অন্যান্য সদস্য দেশগুলোও কমবেশি একই ধরনের নাজুক পরিস্থিতির মুখোমুখি৷ আমাদেরকে এ অবস্থা মোকাবেলার পথ বের করতে হবে৷ তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি সঠিকভাবে মোকাবেলার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে৷ তবে এটি একটি দীর্ঘ ও সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া৷ চলমান আলোচনার একমাত্র সাফল্য হচ্ছে গত বছরের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে কোপেনহেগেন চুক্তি৷ যদিও এটি ছিল স্বাভাবিক আলোচনার বাইরে একটি প্রক্রিয়া৷ তবুও কোপেনহেগেনে আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দ বিশ্বকে এটি বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে তারা একটি ঐক্যমতে পেঁৗছাতে আগ্রহী৷ কোপেনহেগেন সম্মেলনে বিশ্বের ১২০টিরও বেশি দেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷ এই বিরাট সংখ্যক বিশ্ব নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিই প্রমাণ করে যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে গোটা বিশ্ব কতটা উদ্বিগ্ন৷ তিনি দৃঢ় আস্থা ব্যক্ত করে বলেন, এই আগ্রহ ও ইচ্ছা কানকুনে অনুষ্ঠিতব্য সিওপি-১৬ সম্মেলনে একটি আশাব্যঞ্জক ফলাফল বয়ে আনবে ৷




২৯ মে,২০১০

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট নয় ৭২-এর সংবিধানে ফিরে যেতে হলে সংসদের মাধ্যমে ফিরে যেতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি এই বিল সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হবে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চ আয়োজিত জাতীয় কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মহাজোটের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এই প্রক্রিয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে যে সন্দেহ আছে, তাও দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর থেকে দীর্ঘকাল পর্যন্ত দেশ ছিল স্বাধীনতা বিরোধীদের ছায়ায়। আজ যখনই দেশে স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করছে ঠিক তখনই বিএনপি হরতাল দিয়ে সেই বিচার প্রক্রিয়া ভণ্ডুল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের বাইরে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যাচার-অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই মিথ্যাচারকে প্রতিহত করতে হবে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭২ এর সংবিধানে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আন্তরিক রয়েছেন।




২৭ মে,২০১০

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে কাজ করতে দলীয় নেতাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই বৈঠকে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফও ছিলেন। মহিউদ্দিনের মনোনয়নের বিরোধিতাকারী কয়েকজনকেও ডাকা হয় বৈঠকে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মী মহিউদ্দিনের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে এক যোগে কাজ করবেন বলে আজ দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বাস দিয়েছেন।কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে মেয়র পদে তিনবার বিজয়ী মহিউদ্দিনকে সমর্থন দিয়েছে। তিনি প্রার্থী হয়েছেন নাগরিক কমিটির ব্যানারে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, "মহিউদ্দিনকে কীভাবে বিজয়ী করা যায়, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে বলেছেন নেত্রী (শেখ হাসিনা)।" মহিউদ্দিনের মনোনয়ন নিয়ে দলে কোন্দলের বিষয়ে তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় দলে বিভিন্ন ধরনের মত থাকতেই পারে। তবে আমরা মনে করি, অতীতের ক্ষোভ-বিক্ষোভ ভুলে সবাই এক সঙ্গে কাজ করতে পারলে চট্টগ্রামে আমাদের প্রার্থীকে বিজয়ী করা সম্ভব।"


No comments:

Post a Comment