Sunday, July 11, 2010


৭ মে,২০১০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র নস্যাতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, গণতন্ত্র ছাড়া কখনোই দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, অতীতে যারা ভুয়া ভোটার বানিয়ে কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিল তারা বসে নেই। তিনি দেশে গণতন্ত্র সুসংহত করার জন্য ১৪ দল উত্থাপিত প্রস্তাবের উল্লেখ করে বলেন, দেশের জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে এবং দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে। ২০০৭ সালের এই দিনে তদানীন্তন শাসকগোষ্ঠীর ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ গণভবনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে এলে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা সেদিনের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সেদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরেছিলাম। কারণ আমি বুঝতে পেরেছিলাম, দেশে ফিরে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম না করলে শাসকগোষ্ঠী কোনদিনই নির্বাচন দেবে না এবং গণতন্ত্রও আর ফিরে আসবে না। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সেদিনের শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে দেশে ফেরার গৌরবদীপ্ত দিনটি স্মরণ করে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। এ উপলক্ষে সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও শুভানুধ্যায়ী গণভবনে সমবেত হতে থাকেন। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা চলাকালে শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী অসুস' পুত্রবধু ও সন্তান সম্ভবা মেয়েকে দেখার জন্য সে দেশে যান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরপরই শাসক গোষ্ঠী তাঁর দেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করে। এমন কি বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোকে তাঁকে বহন না করার জন্য চিঠি দিয়ে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানকে ঢাকায় অবতরণ করতে দেয়া হবে না। শেখ হাসিনাকেও তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা টেলিফোন করে দেশে না ফেরার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এমন কি এ সময় তাঁর জীবননাশেরও হুমকি প্রদান করে তাঁকে টেলিফোন করা হয়।


No comments:

Post a Comment