Tuesday, July 20, 2010

২১, জুলাই,২০১০

বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সংসদের চলতি অধিবেশনেই সর্বদলীয় কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের এক যৌথসভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদেরও এই কমিটিতে রাখা হবে। কমিটি গঠনের পর সকল সংসদ সদস্যের সম্মতিক্রমেই এই কমিটি চূড়ান্ত করা হবে। তবে জামায়াতের কোনো সদস্য এই কমিটিতে থাকবে কিনা এই বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিচার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এই বিচারের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ করা হবে। বিভাগীয় প্রত্যেক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন বলেও তিনি জানান। এর ধারাবাহিকতায় দেশের সকল জেলা এবং উপজেলায় সমাবেশ করা হবে একই ইস্যুতে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত জনমত গঠনের এই কার্যক্রম চলবে। ১৫ আগস্ট উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে আজকের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা চলাকালীন ঢাকা-১৪ আসনের এমপি আসলামুল হক আসলাম ১৫আগস্টের শোক ব্যানারে কারো নাম না রাখার প্রস্তাব দিয়ে এই বিষয়ে নির্দেশনা দেবার অনুরোধ জানান নেতাদের প্রতি। পরে যৌথসভা থেকে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।




জুলাই ২০, ২০১০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে চলমান ভোগবিলাসনির্ভর রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে রাজনীতিকদের ত্যাগের রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, চাকচিক্য দিয়ে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না; দেশ ও জনগণের জন্য কিছু করা যায় না। এর মাধ্যমে চোখ ধাঁধানো যায়, কিন্তু এতে মানুষের কোনো উপকার হয় না। গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের ব্যাংকুয়েট হলে 'সেই হাসমত আলীর জমির দলিল রমিজাকে হস্তান্তর' অনুষ্ঠানের পর কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। এ সময় তিনি দেশে সেনাসমর্থিত শাসনামল, বঙ্গবন্ধুর হত্যা-পরবর্তী অস্থির প্রেক্ষাপটে তাঁর দেশে ফিরে রাজনীতির হাল ধরাসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বলেন।
একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে রাজনীতি দুই ধরনের_একটি ভোগের রাজনীতি আর অন্যটি হলো ত্যাগের রাজনীতি। ভোগের রাজনীতির উদ্দেশ্যই হচ্ছে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া, বাড়ি-গাড়ির মালিক হওয়া, পদ-পদবি নেওয়া, সামাজিক স্ট্যাটাস নেওয়া। এটা হলো এক ধরনের রাজনীতি। কিন্তু যে রাজনীতি আমরা ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি, শিখে এসেছি, যে আদর্শ ধারণ করেছি, সেটা হলো ত্যাগের রাজনীতি। এর অর্থ হলো, মানুষের জন্য কাজ করা। নিজের ভোগের জন্য সে রাজনীতি নয়। শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি জনগণের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, তাদের জন্য কতটুকু করেছি, তাদের কতটুকু দিতে পেরেছি, তাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কী ব্যবস্থা করতে পেরেছি, সেটাই হচ্ছে আসল রাজনীতি। আসলে রাজনৈতিক বোধ একেকটা মানুষের নিজস্ব ব্যাপার। তাদের মন-মানসিকতার ব্যাপার। আমার যেটা বক্তব্য তা হলো, রাজনীতি মানে মানুষের জন্য কিছু করা।'


No comments:

Post a Comment