Sunday, July 11, 2010

আওয়ামী লীগ যথাযোগ্য মর্যাদায় মে দিবস পালন করবে
১ মে ২০১০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালিক-শ্রমিক ঐক্য এবং তাদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, বর্তমান সরকার উৎপাদনে গতিশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমিকদের কল্যাণ সাধনে বদ্ধপরিকর। শেখ হাসিনা মহান মে দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন যুগোপযোগীকরণ, শিশুশ্রম নিরসন নীতি, জাতীয় শ্রমনীতি, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতি প্রণয়ন, শ্রমিকদের চাকরির বয়স ৬০ বছরে উন্নীতকরণসহ তাদের কল্যাণের লক্ষ্যে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, মেহনতি মানুষের দাবি আদায়ের স্মৃতি বিজড়িত আন্তর্জাতিক সংহতির এক অনন্য দিন মহান মে দিবস। তিনি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে মে দিবস উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। শ্রমের মর্যাদা ও শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৮৮৬ সালে আত্মত্যাগকারী শ্রমিকদের স্মরণে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস ২০১০ পালিত হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সভ্যতার উষালগ্ন থেকেই শ্রমজীবী মানুষ নানাভাবে শোষিত হয়ে আসছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'বিশ্ব আজ দু'ভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক, আরেকদিকে শোষিত' আমি শোষিতের পক্ষে'। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, শ্রমজীবীদের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করে সুখী ও সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে আমরা দ্রুত এগিয়ে নিতে চাই। এজন্য প্রয়োজন মালিক-শ্রমিক ঐক্য এবং তাদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা। এবারের মে দিবসের মূল প্রতিপাদ্য 'শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়, ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈর কর, অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।


No comments:

Post a Comment