Monday, July 26, 2010


২৬ জুলাই,২০১০

খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে কৃষি বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও মাটির গুণাগুনের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে চাষ পদ্ধতি পরিবর্তনে কৃষকদের প্রশিক্ষিত করে তুলতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। সকালে রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস এবং বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে এবছর ৩২ ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কাছে এ পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যাতে খাদ্যে সয়ংসমপূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি সংকটে, দুর্যোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে সহায়তা করা যায়। তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদন ঠিক রাখার স্বার্থে রাসায়ানিক সার, ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার এ মুহুর্তে বন্ধ করা না গেলেও এগুলো পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনতে হবে। দীর্ঘ ১০ বছর পর ৩টি ক্যাটাগরিতে ৩২ কৃষকের মধ্যে ৫ জনকে স্বর্ণপদক ও নগদ ২৫ হাজার টাকা, ৯ জনকে রৌপ্যপদক ও নগদ ১৫ হাজার টাকা এবং ১৮ জনকে ব্রোঞ্জ পদক ও নগদ সাড়ে ৭ হাজার টাকা দেয়া হয়। স্বর্ণপদক পাওয়া ৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হচ্ছে কৃষিতে মহিলাদের অবদানের জন্য কুমিল্লা দেবিদ্বারের ঊষা রানী গোস্বামী, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির পরিচালক এম এ মতিন, কৃষি উন্নয়নে সচেতনতা ও উদ্ধুদ্ধকরণ, প্রকাশনা ও প্রচারণায় খামারবাড়ির কৃষি তথ্য সার্ভিস, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগী চাষে যশোরের সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন ও বাণিজ্যিক খামার স্থাপনে কিশোরগঞ্জের ভাগলপুর আফতার বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড।

No comments:

Post a Comment