Friday, August 20, 2010

…আমরা আছি লাখো ভাই…


লিখেছেন : অমি রহমান পিয়াল      

…They tried to kill me on the night of the 16th. The officer-in-charge took me out and hid me for five days near the Chashma Barrage. They planned to say that there had been a revolt of the prisoners and the prisoners had killed me. They tried to kill me three times: in 1958, when Martial Law came, they arrested me; in 1966 they arrested me on a conspiracy charge; in 1971 they arrested me and tried to kill me. I am living on extensions... (Sheikh Mujib with Henry Kissinger, September 30, 1974) 


‘৮১ সালে ছয় বছরের প্রবাস (পড়ুন নির্বাসন) থেকে ফিরেছিলেন শেখ হাসিনা। ঢাকা বিমানবন্দরে নামার পর যেসব শ্লোগান শুনেছিলেন, তার একটি ছিলো ‘হাসিনা তোমার ভয় নাই, আমরা আছি লাখো ভাই’। শ্লোগানকে শ্লোগান হিসেবে নেওয়াই দস্তুর। নেতানেত্রীরা তাই নেন। কারণ রাজনৈতিক শ্লোগানে ছেলেও বাবাকে ভাই ডাকে। সাত বছর পর শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই বিস্ময়ভরে আবিষ্কার করেছিলেন, কথাগুলো নেহাতই কথার কথা ছিলো না। 


১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি। লালদিঘির ময়দানে সেদিন আওয়ামী লীগের জনসভা ছিলো। শেখ হাসিনার ওপর সেদিন নির্বিচার গুলি ছুড়েছিলো এরশাদ সরকারের পুলিশ ও সাদা পোষাকধারীরা। কিন্তু গুলি তাকে ছোঁয়নি। দেয়ালে বিধেছে। মানুষের সে দেয়াল থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরিয়েছে। হাসিনার ভাইদের দেয়াল। মাথায় গুলি খেয়ে সীতাকুন্ড কলেজের জিএস যখন উল্টে পড়েছেন, তার জায়গা নিয়েছেন একজন শ্রমিক নেতা। রক্তাক্ত সে দেয়ালের নিরেট দূর্ভেদ্যতা অটুট ছিলো। একটা ইট খসে গেলে সেখানে বসেছে আরেকটি ইট। শেখ হাসিনা নিরাপদ ছিলেন। সেদিন আমাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল ছিলো রণক্ষেত্র- জান দেবো, লাশ দেবো না। রাত বারোটা পর্যন্ত চলেছে থ্রি নট থ্রি আর এসএলআরের বিরুদ্ধে ইট পাটকেলের লড়াই। 





১৬ বছর পর, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আবার ভাইদের কাছে ঋণী হয়েছেন হাসিনা। এদিনকার হামলা আরো ভয়ানক ছিলো। গুলির পাশাপাশি ছিলো আর্জেস গ্রেনেড। তুমুল বিস্ফোরণেও হাসিনার ভাইয়েরা ভুলে যায়নি তাদের প্রতিজ্ঞা। শরীরে অজস্র স্প্লিন্টার আর বুলেটের গর্ত নিয়েও দাঁড়িয়ে গেছে মানব দেওয়াল। মৃত্যু দিয়ে বোনের নিশ্চিত মৃত্যুকে ফিরিয়েছেন তারা। 


স্বীকৃতির পরোয়া করে না এসব মৃত্যু। আত্মাহুতির বিনিময়ে প্রতিদান চায় না। আক্রমণ থেমে থাকবে না। আরো হবে। হুমকি আসে জনসভা থেকে। জাতির জনকের মৃত্যুদিনে বিশাল কেক কেটে আনন্দ উদযাপন করিয়েরা হুমকি দেয় আবারও। শেখ পরিবারকে নির্বংশ করার সেই মিশন থেকে তারা সরবে না। বোকা এই খুনীগুলো, তাদের মুখপাত্রগুলো ভুলে যায় সেই ভাইদের কথা। হাসিনার বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পর্যন্ত যাওয়ার আগে কতগুলো শরীর ভেদ করতে হবে তাদের ছোঁড়া গুলিকে। এত বুলেট কোথায় পাবি তোরা! তাদের পারুল বোনটির জন্য সাত ভাই চম্পারা যে শত শত, হাজার হাজার, লাখ লাখ হয়ে যায়। 


No comments:

Post a Comment