Sunday, August 1, 2010

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালনের জন্য আওয়ামী লীগ, তার সহযোগী সংগঠনসমূহ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে
১ আগষ্ট ২০১০
মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধূর শোকের দিন বর্ষ পরিক্রমায় আবার বাঙালি জাতির দ্বারে সমাগত। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবতার দুশমন প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকদের হাতে আবহমান বাংলা ও বাঙালির আরাধ্য পুরুষ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপিতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হন। ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন সেদিন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী নীরবে-নিভৃতে যিনি প্রেরণা যুগিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতা ও বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য মহিয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভ্রাতা শেখ আবু নাসের, জাতির জনকের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ ফুটবলের আধুনিকতার স্রষ্টা, আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা ও সাংস্কৃতিক জগতের অন্যতম পুরোধা শেখ কামাল, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় পুত্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গর্বিত বীর সেনানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামাল, বঙ্গবন্ধুর আদরের কনিষ্ঠ পুত্র নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেল, জাতির জনকের নবপরিণীতা পুত্রবধূ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ব্লু’ উপাধিপ্রাপ্ত দেশসেরা অ্যাথলেট সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি ও তাঁর অন-ঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক কৃষক নেতা জাতির জনকের ভগ্নিপতি তাঁর মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান- আব্দুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আব্দুল নঈম খান রিন্টু, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন রক্ষায় এগিয়ে আসা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গর্ব বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা অফিসার কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ ও কর্তব্যরত অনেক পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারী। এই ঘৃণ্য নরপশু, কাপুরুষ হায়েনাদের বর্বরতা থেকে নারী-শিশু কেহই রেহাই পায়নি। ক্ষণজন্মা যে পুরুষ জাতির হাতে তুলে দিয়েছিলেন স্বাধীনতার উজ্জ্বল পতাকা; কিন' ঘাতকের বুলেটে তিনি পেয়েছেন নির্মম প্রতিদান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে জাতীয় ও আন-র্জাতিক চক্রান-কারীদের পদলেহী ঘাতকগোষ্ঠী বাঙালির হাজার বছরের প্রত্যাশার অর্জন স্বাধীনতাকে, তথা বাঙালি সকল মহতী আকাঙ্ক্ষাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। মুছে ফেলতে অপপ্রয়াস চালিয়েছে বাঙালির বীরত্বগাঁথা ইতিহাস। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যে পাকিস-ানি সামপ্রদায়িক ধারা পরাভূত হয়েছিল তাই আবার যেন পুনর্জন্ম লাভ করেছিল। মূলতঃ তাদের উদ্যত সঙ্গীন আমাদের সুমহান স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বাঙালির হাজার বছরের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সভ্যতা, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ ও অর্থনৈতিক মুক্তির সোনালী শুভ গণমুখী পদক্ষেপগুলোকে স-ব্ধ করার হীন উদ্দেশ্যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূূল্যবোধকে নস্যাৎ করার প্রয়াসে এবং সমাজ প্রগতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার জন্যই এই আঘাত হেনেছিল।


১ আগস্ট, ২০১০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুতের নামে মানুষ হত্যা ও অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা বন্ধ করার জন্য বিরোধী দলীয় নেত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আজ জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের মাসব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে ধানমন্ডির ৩২নং সড়কে বাংলাদেশ কৃষকলীগ আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের অর্থ-সম্পদ লুট করতে না পারায় তারা এখন সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, যারা দুর্নীতি, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসের মদদদাতা তাদেরকে জনগণ আর কখনই ক্ষমতায় আনবে না। তিনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা পরিহার করে জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা ও সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য বিরোধী দলকে পরামর্শ দেন। রক্তদান কর্মসূচির আগে কৃষকলীগ সভাপতি মীর্জা আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় আরো বক্তৃতা করেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এডভোকেট রহমত আলী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ও কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমনকে সপরিবারে হত্যা করার মাধ্যমে সংবিধান লংঘন করে অবৈধ ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরস্কৃত করে দূতাবাসে চাকরি এমনকি ভোটার বিহিন নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য করা হয়েছিল। জঘন্য খুনিদেরকে এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহিত করার এটা এক নজিরবিহনীন ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলীয় নেত্রীকে প্রশ্ন করেন ‘আপনি মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনগণকে কি দিতে চান ?’ তিনি বিএনপি-জামায়াত আহুত হরতালের আগের দিন পুড়িয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, একজন মুসলমান আরেকজন মুসমানকে কি করে পুড়িয়ে হত্যা করার নির্দেশ দিতে পারে। আর তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামী। তিনি বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অত্যাচার নির্যাতন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদের মদদ দেয়ার কথা উল্লেখ করে বিরোধী দলকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি করবো না, জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবো না, এ শপথ নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সফলতা তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছিলাম, শিক্ষার হার বাড়িয়ে দিয়েছিলাম কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার এসে দেশকে পুনরায় খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসেবে পরিণত করে শিক্ষার হার হ্রাস পায়।’ তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছিল। গত ১৭ মাসে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সেই ভাবমূর্তি কাটিয়ে উঠে আমরা সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি।


৩১ জূলাই ২০১০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, পোশাক শিল্পে কোন ধরনের অরাজকতা ও নাশকতা সহ্য করা হবে না। তিনি আজ টেলি-কনফারেন্সের মাধ্যমে বিজিএমইএ’র মানব সম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রমের অধীনে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন কমপ্লেক্সে দু’টি প্রকল্পের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব মাহবুবুল হক শাকিল সাংবাদিকদের এ কথা জানান। শেখ হাসিনা পোশাক শিল্পে সাম্প্রতিককালের কিছু ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে মালিকদের রাজী করিয়ে পোশাক শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ১৬শ’ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তারপরেও এ ধরনের তৎপরতার উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে পোশাক শিল্প খাতকে ধ্বংস করা।’ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীর টু্িঙ্গপাড়া ও গোপালগঞ্জ সফর স্থগিত হলেও তিনি টেলি-কনফারেন্সের মাধ্যমে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিসমূহ উদ্বোধন ও ভাষণ দেন। শেখ হাসিনা বলেন, শ্রমিকের অন্ন জোগায় যে শিল্প তা ধ্বংস হলে কার লাভ? শ্রমিকদের এমন কোন কাজের সঙ্গে জড়িত হওয়া উচিত নয়, যাতে তাদের রুটি-রুজির অবলম্বন হুমকির মুখে পড়ে। কারণ অরাজকতার কারণে গার্মেন্টস খাত বন্ধ হয়ে গেলে তারা বেকার হয়ে পড়বে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিম্নতম মজুরি মেনে নিয়ে শ্রমিকদের কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। পরবর্তীতে বিশ্বমন্দার প্রভাব কমলে এবং রফতানি বৃদ্ধি পেলে তাদের যৌক্তিক দাবী বিবেচনা করা হবে। তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশে প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়ি-গাড়ি ও অফিসের ক্ষতিপূরণ শ্রমিকদের বেতন থেকে আদায়ের দাবী কেউ করলে তারা কী জবাব দেবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিশৃংখলতার পিছনে মদদাতারা দেশের শত্র“, শ্রমিকের শত্র“। তাদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি তিনি গার্মেন্টস মালিকদের প্রতি শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে আরও আন্তরিক হওয়ার আহবান জানান। গার্মেন্টস শ্রমিকদের রেশনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দিয়ে চাল ও গম সরবরাহ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।


জুলাই ২৯, ২০১০
সংবিধান সংশোধন নিয়ে বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাকা চৌধুরীর বক্তব্য অনভিপ্রেত, বিদ্বেষমূলক, কুরুচিপূর্ণ, অশিষ্ট ও ধৃষ্টতাপূর্ণ। গত সোমবার সাকা চৌধুরী তাঁর বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় নেতাদের নিয়ে নানা নেতিবাচক বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধনের দায় প্রাধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে। এরই পরিপ্র্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার এক বিবৃতি দেন সৈয়দ আশরাফ। সৈয়দ আশরাফ বলেন, রাজনীতিতে কুকুরের লেজতত্ত্বের আবিষ্কারক পাকিস্তানিদের দোসর এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বাঙালির কৃষ্টি-সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও জাতীয় নেতাদের নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক, কুরুচি ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানও এই সুবিধাবাদীর আক্রমণের শিকার হয়েছেন। সৈয়দ আশরাফ আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর সাকা চৌধুরীসহ বিএনপির একশ্রেণীর নেতাদের অসংলগ্ন কথাবার্তা বেড়ে গেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে এঁদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।


২৭, জুলাই,২০১০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার অবৈধ ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন এবং মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ ব্যাপারে তাঁকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। আজ গণভবনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘বাবার পরিনতি হবে’ বিএনপি’র এক নেতার এই বক্তব্যের জবাবে বলেন, ‘আমি ভয় পাইনা, হায়াত মউত আল্লার হাতে। আল্লাহ যতদিন আমার হায়াত দিয়েছেন ততদিন কেউ আমার কিছু করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার আগেও এ ধরনের বক্তব্য দেয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমাকে দিয়ে কিছু দায়িত্ব পালন করাতে চান বলেই আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।’ তিনি বলেন, কোন বাজে কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। জনগণের জন্যে কে কি কাজ করেছেন ’৭১-এ কার কি ভূমিকা ছিল জনগণ তা জানে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট মোল্লাহ মোহাম্মদ কাওসার ও সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ব্যাচ পরিয়ে দিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী এবং পরবর্তীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের অগ্রণী ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, কল্যাণমূলক কাজ করে তাদেরকে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে, কষ্ট হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, অপকর্ম করে পার পাওয়ার আশায় সব সময় সরকারে কিছু সুবিধাবাদী লোক ঢুকে পড়ে। তিনি বলেন, কেউ কোন অন্যায় করলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না, তা সে যে দলেরই হোক। প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, লুটপাটের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ জন্যই নির্বাচনে জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর অর্থ কামাই করেছিল, তারা ভেবে ছিল অবৈধ পথে অর্জিত অর্থ দিয়েই নির্বাচনে পার পেয়ে যাবে। সব সময় অর্থ দিয়েই সব কাজ হয় না। জনগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে হয়।

No comments:

Post a Comment